Constipation During Periods: পিরিয়ডসের সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেন হয়, জানেন?

Health Tips: পিরিয়ডের সময় কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। তাই ওই দিনগুলোতে জল বেশি করে খান। কফি একেবারেই খাবেন না...

Constipation During Periods: পিরিয়ডসের সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেন হয়, জানেন?
পিরিয়ডের দিনগুলিতে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2022 | 9:01 AM

পিরিয়ডের আগে এবং পরে মেয়েদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পিরিয়ডের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শরীরে অস্বস্তি, মাথাব্যথা, পায়ে ব্য়থা, মেজাজ বিগড়ে থাকা, খেতে ইচ্ছে না করা এসব থাকেই। এর মূল কারণ হল শরীরে হরমোনের খেলা। শরীরে হরমোনের তাকতম্যের জন্যই এই এত সমস্যা। এমনকী পিরিয়ডের মধ্যে অধিকাংশ মহিলার ক্ষেত্রেই থাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে পিরিয়ডের সময়কার এই কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যেও কিন্তু দায়ী আমাদের শরীরের বিভিন্ন হরমোন। শরীরে হরমোনের তারতম্য হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। মূলত পরিপাকতন্ত্রে। ঠিক করে হজম হয় না। সঙ্গে পেট ফেঁপে যাওয়া, গ্যাস, অম্বল আর হঠাৎ পেটে মোচড় দিয়ে ব্যথার মত উপসর্গ থেকে যায়। এই সময়ে সব মেয়েদেরই রুটিনে একটু পরিবর্তন আসে। রোজকার শরীরচর্চা, ব্যায়াম থেকে এই কয়েকটা দিন অনেকেই নিজেকে সরিয়ে রাখেন। কারোর ভাজা খাবার বেশি খেতে ইচ্ছে করে তো কারোর চকোলেট। সেই সঙ্গে জলও প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া হয়। সব মিলিয়ে শরীরে হরমোনগত তারতম্যের জন্যই কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি হয়।

এই সমস্যা এড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা

ব্যায়াম- শরীরের হজম ক্ষমতা উন্নত করতে ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। তাই নিয়ম করে ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। পিরিয়ডসের দিনে ব্যায়াম করলেই সুস্থ থাকবেন। এতে পিরিয়ডস ক্লিয়ার হয়। মন ভাল থাকে কারণ হরমোনের ক্ষরণ ঠিক থাকে। সঙ্গে হজমের সমস্যা বা পেটের কোনও সমস্যাওল হয় না। এছাড়াও এই সময় শরীরে যে ফোলাভাব থাকে তা কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে ব্যায়াম।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া- রোজকার ডায়েটে জলের পরিমাণ ঠিক রাখুন। জল পরিমাণের তুলনায় কম খেলে হজম ঠিকমত হয় না। গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা থেকে যায়। গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য আসবেই। নিয়ম করে অন্তত ৮ গ্লাস জল খান। এছাড়াও আদা দিয়ে চা খান।

তেলমশলা নয়- তেলমশলা, কষানো খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন। তালিকায় কফি, দুধ, দুধের তৈরি কোনও খাবার, জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবারই কোষ্ঠকাঠিন্যের মূলে।

প্রোবায়োটিক খান- রোজ নিয়ম করে টকদই খান। সবথেকে ভাল যদি বাড়িতেই পেতে নিতে পারেন। পিরিয়ডের সময় হজম ক্ষমতা কম থাকে। এক্ষেত্রে টকদই খেলে সবচেয়ে ভাল কাজ হবে। কারণ প্রোবায়োটিক আমাদের হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়াও তৈরি হয় এর গুণে।

ফাইবার খান- তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে রাখুন। ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এসবও পরিমাণে ঠিক রাখুন। রোজ চিয়া সিডস আর ফ্ল্যাক্স সিডস ভেজানো জল খান। এতে পরিপাক ভাল হবে।

প্রয়োজন অনুসারে বাথরুমে যান- এই সময় পরিষ্কার বাথরুম ব্যবহার করাটা বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও প্রয়োজন অনুসারে বাথরুমে যান। অযথা চেপে রাখবেন না। পেট পরিষ্কার না হলে হজমের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন না।