AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Orange Peel: কমলালেবুর খোসা খাওয়া কি সুরক্ষিত? জানুন এর উপকারিতা!

যেমনটা সবাই জানি যে কমলালেবু ভিটামিন সি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিজ্জ উপাদানে সমৃদ্ধ। কিন্তু আপনি কি জানেন কমলালেবুর খোসাতেও রয়েছে একাধিক ভিটামিন ও মিনারেল, যা একই ভাবে শরীরের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তাহলে কি কমলালেবুর খোসার খাওয়া ভাল? চলুন জানা যাক...

Orange Peel: কমলালেবুর খোসা খাওয়া কি সুরক্ষিত? জানুন এর উপকারিতা!
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2021 | 7:21 AM
Share

সাইট্রাস পরিবারের অন্তর্গত ফল একমাত্র কমলালেবুরই চাহিদা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে। পৃথিবীতে সাইট্রাস ফল হিসাবে সবচেয়ে পরিমাণে খাওয়া ও ব্যবহার করা হয় কমলালেবু। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা।এই ফল যেমন ওজন কমাতে সহায়ক, তেমনই শরীরে বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। তার সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপরও দারুণ প্রভাব ফেলে কমলালেবু।

যেমনটা সবাই জানি যে কমলালেবু ভিটামিন সি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিজ্জ উপাদানে সমৃদ্ধ। কিন্তু আপনি কি জানেন কমলালেবুর খোসাতেও রয়েছে একাধিক ভিটামিন ও মিনারেল, যা একই ভাবে শরীরের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। কমলালেবুর খোসার মধ্যে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম সহ একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি। কমলালেবুর খোসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল রয়েছে, যা এক নয় একাধিক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়ক।

এছাড়াও কমলালেবুর খোসার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সারিয়াস উপাদান। এর মধ্যে লাইমোনেনের উপস্থিতি হয়েছে যা এক প্রকার প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি রাসায়নিক পদার্থ। এই পদার্থই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এমনকি কমলালেবুর খোসার মধ্যে এসেন্সিয়াল অয়েলও রয়েছে যা এক প্রকার অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি উপাদান। এই উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কমলালেবুর খোসার খাওয়া ভাল? চলুন জানা যাক…

কমলালেবুর খোসার খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। আপনি যদি এই উপাদানকে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে চান, তাহলে ভাল দেখে কমলালেবু বেছে নিন। চেষ্টা করুন তাজা ও জ্যুসি কমলালেবু বেছে নেওয়ার, বিশেষত যেগুলি জৈবিক উপায়ে উৎপাদন করা হয়। খাওয়ার আগে ভাল করে গরম জলে খোসাটি ধুয়ে নিন। কারণ খোসার গায়ে অনেক বিষাক্ত পর্দা‌থ থাকে। হাইজিন মেনে যদি না কমলালেবুর খোসা খান তাহলে প্রথমত হজমে সমস্যা হবে, উপরন্ত পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভাল করে ধুয়ে নিয়ে কমলালেবুর খোসাকে ছোট ছোট আকারে কেটে নিন। খোসার তিক্তভাবে এড়ানোর জন্য আপনি একে আপনার পছন্দ মত স্যালাদ বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খেতে পারেন। এমনকি কোনও স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে পারে কমলালেবুর খোসা বা খোসার গুঁড়ো। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি রান্না করে কমলালেবুর খোসা খান। এর তিক্তভাবও দূর হয়ে যাবে এবং পুষ্টিও বজায় থাকবে। আপনি যদি কমলালেবুর ফ্যান হন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন তাহলে খেয়ে দেখতে পারেন কমলালেবুর খোসা।

আরও পড়ুন: শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা সম্পর্কে জানেন?

আরও পড়ুন: পিঠের যন্ত্রণা হচ্ছে? হতে পারে আপনি কিডনির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন

আরও পড়ুন: হাসতে ভুলেছে মানুষ! স্বাস্থ্যের জন্য হাসি কেন জরুরি, জানেন?