Health Tips: পিঠের যন্ত্রণা হচ্ছে? হতে পারে আপনি কিডনির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এবং যারা ডায়বেটিসের রোগী তাদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। আর এই অঙ্গ যদি বিকল হয়ে পড়ে তাহলে আপনার মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। তাই ছোটখাটো উপসর্গ দেখা দিলেই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান।
কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গের মাধ্যমে আপনার শরীরে বিষাক্ত পদার্থগুলি শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। সুতরাং খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই অঙ্গকে সচল রাখা খুব দরকার। তবে ইদানিং কিডনির সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এবং যারা ডায়বেটিসের রোগী তাদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। আর এই অঙ্গ যদি বিকল হয়ে পড়ে তাহলে আপনার মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। তাই ছোটখাটো উপসর্গ দেখা দিলেই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান।
কিডনিকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর ডায়েট। শুধু কিডনি নয়, বরং সামগ্রিক শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবারকে রাখা প্রয়োজন। কিডনির সংক্রমণ এড়াতে জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুডও এড়ানো উচিত। কিডনি সংক্রমণের সময়, শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যা আমরা প্রায়শই উপেক্ষা করি।
প্রস্রাব করার সময় যদি আপনার প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়, তাহলে আপনার এটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এই রক্ত ক্ষরণ কিডনির সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। এমনকি প্রস্রাবের সময় যদি সামান্য ব্যথাও অনুভব করেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এই ধরনের উপসর্গগুলি পরবর্তী সময়ে মারাত্মক রোগ ডেকে আনতে পারে।
অনেক সময় মানুষের পিঠে ব্যথা হয়। অনেকেই মনে করেন এই ধরনের ব্যথা সাধারণ বা স্পন্ডালাইটিসের জন্য হচ্ছে। অনেক সময় হাঁটতে গিয়েও পিঠে বা কোমড়ে ব্যথা হয়। এই ধরনের উপসর্গকে অনেকেই উপেক্ষা করেন। কিন্তু এই ধরনের সমস্যাও কিডনির সংক্রমণের সংকেত হতে পারে।
মূলত কিডনির সংক্রমণ দেখা দিলে তার প্রথম উপসর্গ প্রস্রাবের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। যেমন বেশি বা কম পরিমাণে প্রস্রাব হয়।প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাভাব, রক্তপাত ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিলে তাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ বলা হয়। এই সমস্যা যখন কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন জ্বর হয় এবং পিঠ বা পিছনে ব্যথা হয়। কিন্তু প্রথমেই যদি আপনি প্রস্রাবের উপসর্গে উপেক্ষা না করে যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে এই কিডনির সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
এছাড়াও কিডনির সমস্যা হলে শরীরে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, নিঃশ্বাসের সমস্যা, অত্যধিক ঠা ন্ডা লাগা বা শীত অনুভূত হওয়া, ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়ার মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই এই সব উপসর্গ গুলি সম্পর্কে সচেতন হন এবং দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদিক উপায়ে হার্টকে রাখুন সুস্থ, পরিবর্তন করুন জীবনধারা!
আরও পড়ুন: আপনার পেটের সমস্যার সমাধান হতে পারে এক কাপ চায়ে!
আরও পড়ুন: এই ফলগুলি খেলেও বাড়বে না আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা!