AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Weight Loss Tips: কেন পেটের মেদ ঝরতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে, জানেন কি?

Belly Fat: পেটে যেমন সবার আগে মেদ জমে তেমনই এই মেদ ঝরাতেও কিন্তু সবচেয়ে বেশি সময় লাগে। রোজ নিয়ম করে ডায়েট করলে তবেই কিন্তু এই তর্বি ঝরে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন শরীরচর্চারও

Weight Loss Tips: কেন পেটের মেদ ঝরতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে, জানেন কি?
যে সব কারণে পেটে মেদ জমে
| Edited By: | Updated on: May 25, 2022 | 6:33 AM
Share

ওজন যখন বাড়তে শুরু করে তখন সবচেয়ে বেশি ফ্যাট জমে পেটে। আর মধ্যপ্রদেশের ফ্যাট ঝরতে কিন্তু সবচাইতে বেশি সময় লাগে। পেটের চর্বি ঝরাতে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ যদি ১০ দিনে ঝরে তাহলেও টানা ১ মাসের কসরতে পেটের মেদ ঝরে না। মানসিক চাপ যদি মাত্রা ছাড়া ভাবে বাড়তে থাকে, রোজ যদি বাটার চিকেন, বিরিয়ান খান সেই সঙ্গে কোনও রকম শরীরচর্চা যদি না থাকে তাহলে ওজন বাড়বেই। পেটে চর্বি জমা গভীর কোনও অসুস্থতাকই ইঙ্গিত দেয়। আর তাই চেষ্টা করতে হবে যাবতীয় টেনশন থেকে দূরে থাকার। মানসিক চাপ বাড়লে সেখান থেকেও কিন্তু ভুঁড়ি বাড়ে। কেন মধ্যপ্রদেশ বাড়ছে, কেন পছন্দের জিনস আর গায়ে আঁটছে না এই নিয়ে কিন্তু নিজেকেই ভাবতে হবে।

কী কী কারণ থাকতে পারে নেপথ্যে 

মেটাবলিজম- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু মেটাবলিজম কমে যায়, আর মেটাবলিজম কমে গেলে ওজন ঝরানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। মূলত মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। আর তাই তাদেরকেই ভুঁড়ি নিয়ে বেশি সমস্যার মঘধ্যে পড়তে হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও দিনের পর দিন অনেকের ওজন বাড়ে না। এর কারণ একটাই। তাদের বিপাক ভাল। বিপাক স্লো হলেই ওজন বাড়ে, পেটে মেদ জমে। পেট ফুলতে শুরু করে। থাইরয়েড, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু বিপাক কমে যায়।

ভুল ডায়েট- ডায়েটেরও রকমফের থাকে। না খেয়ে থাকলেই রোগা হওয়া যায় না। অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের ডায়েট চাট নিজেই ঠিক করেন। ভুলবশত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে কিন্তু ওজন বাড়বেই। আসতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের মত সমস্যা। ঘুম কম হয়, সেখান থেকে স্ট্রোকের সমস্যাও বেড়ে যায়। আর তাই পেট খালি রাখবেন না। সময় বুঝে খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

স্ট্রেস- অতিরুক্ত স্ট্রেসও কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। স্ট্রেস বাড়লেই হরমোনের তারতাম্য দেখা দেয়। অ্যাড্রিনালিন এবং কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো হয় না। আর এই হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো না হলেই কিন্তু সেখান থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটেও অতিরিক্ত মেদ জমে যায়।

অত্যধিক অ্যালকোহল খেলে- মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল খেলে সেখান থেকেও কিন্তু ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অ্যালকোহলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। এতে যেমন লিভারের ক্ষতি হয় তেমনই কিন্তু চাপ পড়ে পেটের উপরেও। আর তাই অ্যালকোহল একেবারে এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল। অ্যালকোহল বেশি খেলে শরীরে মেদ জমবেই।

শরীরচর্চার অভাব- সব মানুষেরই নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চার প্রয়োজন। যদি শরীরচর্চায় ঘাটতি থেকে যায় তাহলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। এন্ডোরফিন হরমোনের যথাযথ ক্ষরণ হয় না। এন্ডোরফিন সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা আমাদের মন ভাল রাখে. আর তাই দুবেলা নিয়ম করে ব্যায়াম কিন্তু খুবই জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন কমবেই।