Coronavirus infection: আবার আসছে কোভিডের ঢেউ, সাবধানতার জন্য সব অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি এখনই

COVID 4th Wave: দেশজুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়েছে কোভিড মৃত্যুও। আর তাই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। দ্রুত নিন বুস্টার ডোজ। মাস্ক পরুন, এড়িয়ে চলুন জনসমাগম

Coronavirus infection: আবার আসছে কোভিডের ঢেউ, সাবধানতার জন্য সব অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি এখনই
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 2:39 PM

COVID Fourth Wave: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার (COVID-19) গ্রাফ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে সংক্রমণ থেকে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, বিগত এক সপ্তাহ ধরেই ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫২৭ জন। একদিনেই সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৫২-এ। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ১৪৯-এ।রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লিতেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০৯৪ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। দিল্লিতে বর্তমানে সংক্রমণের হার ৪.৮২ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে আমাদের রাজ্যেও।

জানুয়ারি মাসে ওমিক্রন যে ভাবে আছড়ে পড়েছিল দেশজুড়ে, তারপর ফের কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে প্রথম থেকেই সকলকে সতর্ক এবং সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে পারলে তবেই কিন্তু কমবে আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিডের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার পর থেকে প্রচুর মাস্ক ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকী বজায় থাকছে না সামাজিক দূরত্বও।

সংক্রমণের ঝুঁকি সব বয়সের সব মানুষেরই রয়েছে। যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ পাননি, তাঁরা যত তাড়াতাড়ি টিকা পান সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে যাঁদের ডায়ালিসিস চলছে, যাঁদের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে, হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, কেমোথেরাপি চলছে তাদের আরও বেশি সাবধানে থাকতে হবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। আর তাই যা কিছু মেনে চলবেন-

মাস্ক পরতেই হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন নাকের দুপাশ যাতে ভাল করে ঢাকা থাকে। কোনও ভাবেই মাস্ক থুতনিতে রাখবেন না। ২০১৯-এর শেষে যখন চিনে প্রথম কোভিডের প্রকোপ শুরু হয়, তখন কিন্তু জোর দেওয়া হয়েছিল এই মাস্কের উপরেই। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কারণ তা ঠিকমতো ভাইরাস আটকাতে পারে না।

কোভিডের প্রকোপ চলাকালীন গত দু’বছর লকডাউন চলেছিল বিশ্বজুড়ে। বন্ধ ছিল বিমান চলাচলও। প্রয়ো জনে আবার ফিরে আসুন সেই অভ্যাসে। কয়েকটা দিন জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন ছাড়া অন্য বাইরে বেরোবেন না।

যাঁদের মুখে মাস্ক থাকছে না এমন মানুষদের থেকে কিন্তু কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। বায়ু চলাচল করে না এমন জায়গাও কিন্তু এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে স্যানিটাইজেশন করান।

হঠাৎ যদি কোনও রকম অসুস্থতা অনুভব করেন বা শরীরে যদি কোনও কোভিডের লক্ষণ থাকে তাহলে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করুন। অন্তত ১০ দিন বাড়ির অন্য সদস্যদের সংস্পর্শে আসবেন না। বাচ্চাদের ও বাড়ির বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

হাত ধোওয়ার অভ্যাসও ভীষণ ভাবে জরুরি। বাচ্চাদের মধ্যেও এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ঙাবে হাত ধুলে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে কিন্তু কৃমির সমস্যাও এড়ানো যাবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Vitamins: শরীরের প্রয়োজনেই এই দুই ভিটামিন খান একসঙ্গে, গুনে শেষ করতে পারবেন না উপকারিতা