AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mosquito Bite: মশার কামড়ের পর দ্রুত ফোলা, জ্বালা, চুলকানিতে অস্বস্তি? ঘরোয়া এই ৪ টোটকাতেই মিলবে স্বস্তি

Home Remedies: কোনও কোনও সময় লালা হয়ে কামড়ের জায়গাটি ফুলে যায়। তার সঙ্গে থাকে জ্বলুনি আর চুলকানি। কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে সমস্যা পোহাতে হয়।

Mosquito Bite: মশার কামড়ের পর দ্রুত ফোলা, জ্বালা, চুলকানিতে অস্বস্তি? ঘরোয়া এই ৪ টোটকাতেই মিলবে স্বস্তি
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 7:15 AM
Share

দশাসই মশার হুল মাঝেমধ্যেই ইঞ্জেকশনের সুচের চাইতেও মারাত্মক হয়ে যায়! এখানেই শেষ নয়। শয়তান মশারা কামড়ানোর সঙ্গে দেহে প্রবেশ করিয়ে দেয় ফরেন বডি। এই ধরনের ফরেন বডির সঙ্গে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা লড়াই করে। আর তার ফলেই ত্বকে দেখা যায় চুলকানি, লাল র‌্যাশ এবং ফোলাভাব। তবে জানলে অবাক হবেন, আমাদের হাতের কাছেই বেশ কিছু উপাদান থাকে যেগুলির সাহায্যে এই ধরনের অস্বস্তিকর উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায় চোখের পলকে। মশা আর মাছি, এই নিয়েই তো আমরা বেঁচে আছি! মাছির ভনভনানি সহ্য করা যেমন অসম্ভব, তেমনই মশার বিষাক্ত হুলের খোঁচাও হজম করা শক্ত। মাছি তাও ফিনাইল ঢেলে দিলে পালিয়ে যায়। মশার আবার ওসব বালাই নেই! তাদের দরকার নর রক্ত! ভয়ঙ্কর রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারের মতো রক্ত চুষে নিতে না পারলে ওদের বংশ বাড়বেই বা কেমন করে!

তাই নির্বিচারে হিংস্র মশারা সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে মানবজাতির উপর। হয়তো ডেস্কে বসে কাজ করছেন, অমনি কোন ফাঁক থেকে পায়ের পাতায় স্ট্র-এর মতো হুল ফুটিয়ে খানিক রক্ত খেয়ে কুল হল মশা। কিংবা ধরুন কিচেনে ফ্যান চলে না। তার পূর্ণ সুযোগ নেয় মশার দল। বাসন মাজার সময়ে বা রান্না করার সময় উত্যক্ত করে যায় তারা। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, কথা নেই বার্তা নেই, মাথার উপর গোল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে মশার দল। বোমারু বিমানের মতো হানা দিয়ে কামড় বসাছে ঘাড়ে, কপালে!

অথবা আপনার ছোট্ট কুট্টিটা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। রক্তপিপাসু মশারা বাচ্চাদেরও ছেড়ে কথা বলে কোথায়! মশার কামড় বাস্তবেই অত্যন্ত পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা। কোনও কোনও সময় লালা হয়ে কামড়ের জায়গাটি ফুলে যায়। তার সঙ্গে থাকে জ্বলুনি আর চুলকানি। কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে সমস্যা পোহাতে হয়। সাধারণত মশার কামড়ে তৈরি হওয়া ফোলাভাব কোনও জটিলতা তৈরি করে না। তবে বেশি সমস্যা হলে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। কাজ হবে একশো শতাংশ।

মধু: কামড়ের জায়গায় সামান্য মধু নিয়ে ধীর ধীরে আঙুল দিয়ে বোলান। স্বস্তি পাবেন। অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে মধুর। ফলে প্রদাহ এবং চুলকানি কমাতে সক্ষম মধু। এছাড়া মশার কামড়ে ও চুলকানির চোটে কোনও সংক্রমণ হলে তাও প্রতিরোধ করতে পারে মধু।

ঠান্ডা টি ব্যাগ: শীতল গ্রিন টি ব্যাগ নিয়ে লাগাতে পারেন কামড়ের অংশে। গ্রিন টি-এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণের কারণে দ্রুত ফোলা ও লাল ভাব কমে যাবে। হ্রাস পাবে চুলকানি। ব্যবহৃত টি ব্যাগ হলেই চলবে। ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দিন ফ্রিজে। দরকার মতো বের করে প্রয়োগ করুন।

অ্যালকোহল: সামান্য অ্যালকোহল দিয়ে আক্রান্ত জায়গায় হালকা ম্যাসাজ করুন। নিমিষে চুলকানি কমাতে সক্ষম অ্যালকোহল। তবে বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল ব্যবহার না করাই উচিত। না হলে ত্বকে র‌্যাশ বেরনর আশঙ্কা থাকবে।

অ্যালোভেরা: অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরায়। ফলে মশার কামড়ের জায়গায় সামান্য মাত্রাতে হলেও অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করলে দেখবেন চুলকানি কমে যাচ্ছে। মশার কামড়ের জায়গাটি দ্রুত ঠান্ডাও হয়ে যাবে।