Migraine Pain: ঘন ঘন মাথা ধরে, দপদপ করে? মাইগ্রেন নয় তো…

Headache: মাইগ্রেনের বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে। এতে মাথার একদিকে ব্যথা হয়, মাথা দপদপ করতে থাকে

Migraine Pain: ঘন ঘন মাথা ধরে, দপদপ করে? মাইগ্রেন নয় তো...
কেন হয় মাইগ্রেনের ব্যথা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 8:40 AM

মাথা ব্যথার সমস্যায় আজকাল নাজেহাল সকলেই। মাথায় যদি হাজারটা কাজের চিন্তা থাকে, স্ট্রেস থাকে তাহলে তো ব্যথা লেগেই থাকবে। আর মাথা ব্যথা হলে অন্য কোনও কাজেই বিশেষ মনযোগ দেওয়া যায় না। শরীরে অস্বস্তি লেগে থাকে, একটানা কোনও কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকা যায় না, আলো সহ্য হয় না এমনকী কোনও কিছু খেতেও ইচ্ছে করে না। তবুও সেই ব্যথা নিয়েই কাজ করতে হয়। ব্যথা কমানোর সহজ দাওয়াই হিসেবে বেশিরভাগই বেছে নেন পেইনকিলার। যাতে সাময়িক স্বস্তি হলেও তা সমাধানের পথ নয়। মাথা ব্যথাকে অধিকাংশই বিশেষ গুরুত্ব দেন না। বরং নিজের মত করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। এমনকী বুঝতেও চেষ্টা করেন না যে এর কারণই বা কী। মাথা ব্যথা যে কোনও রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। এর নানা কারণ থাকতে পারে। আর তাই প্রথম থেকে একেবারেই অবহেলা নয়।

মাথা ব্যথা যেমন চোখের কারণেও হতে পারে তেমনই আরও একটি কারণ হল মাইগ্রেন। মাথা ব্যথার সমস্যাকে মোট দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। প্রাইমারি হেডেক ও সেকেন্ডারি হেডেক। টিউমার, কোনও কারণে রক্তপাত হলে বা মাথার পিছনে ব্যথা হলে সেখান থেকে হতে পারে এই সমস্যা। প্রাইমারি হেডেকের সঠিক কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে মাইগ্রেন হল সেকেন্ডারি হেডেক।

মাইগ্রেনের লক্ষণ

মাইগ্রেনের বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে। এতে মাথার একদিকে ব্যথা হয়, মাথা দপদপ করতে থাকে। সেই সঙ্গে বমি বমি ভাব থাকে বা বমি হয়। এছাড়াও আলোতে সমস্যা হয়, যে কোনও রকম শব্দেও সমস্যা হয়। মাইগ্রেন হলে সেই ব্যথা টানা তিনদিন পর্যন্ত থেকে যায়।

মাইগ্রেনের সঠিক কারণ কী তা এখনও জানা যায় না। তবে বাইরের দেশে বেশি পরিমাণ ফাস্টফুড খাওয়া, প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার বেশি খেলে সমস্যা হয়। এছাড়াও মাটন, তেল মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া হলে, চাইনিজ খাওয়ার বেশি খেলেও সেখান থেকে হতে পারে সমস্যা। মাথা ব্যথার আরও কিছু কারণ থাকে।

১.রোদে বেরোলে সমস্যা হতে পারে

২.বেশি সময় খালিপেটে থাকলে সেখান থেকেও সমস্যা হয়

৩.অতিরিক্ত চিন্তা করলে

৪.বিশেষ কোনও গন্ধ থেকে

৫.ঘুম একেবারেই কম হলে।

কাদের মাইগ্রেন হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে?

যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যেই এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন এই সমস্যা শুরু হলে তা মোটামুটি ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেন হয়েছে কিনা তা জানতে নির্দিষ্ট কোনও পরীক্ষা নেই। মূলত কেস হিস্ট্রি শুনেই তা নির্ধারণ করা হয়। প্রয়োজনে এমআরআই, সিটি স্ক্যান এসব করার পরামর্শ দেওয়া হয়।