Iron Deficiency in Women: বয়স ১২ হোক বা ২১, মহিলাদের দেহে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি
Anemia Risk and Symptoms: আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই যখনই দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয়, তার উপসর্গ প্রকাশ পায়। আর আয়রনের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় মহিলাদের মধ্যে।

৫ জন মহিলার মধ্যে ২ জন রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। পরীক্ষা করালে দেখা যাবে, মহিলাদের দেহে আয়রনের পরিমাণ কম। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা বলছে, প্রতি ৪ জন তরুণীদের মধ্যে ১ জনের দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, মহিলাদের মধ্যে এই আয়রনের ঘাটতি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়টিকে সাধারণ বা হালকাভাবে নেবেন না। কারণ এই আয়রনের ঘাটতিই আপনাকে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া এনে দিতে পারে।
সম্প্রতি অ্যান আর্বরের মিশিগান মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় ১২ থেকে ২১ বয়সী ৩,৫০০ মেয়েদের নিয়ে একটি গবেষণা করে। এই গবেষণা জাতীয় স্বাস্থ্য ও নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভেরও অংশ ছিল। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েশনের জার্নালে। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ৩,৫০০ অংশগ্রহণকারী ৪০% মহিলার শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে।
আয়রন হল একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল, যা লাল রক্ত কোষকে শরীরের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে। আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই যখনই দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয়, তার উপসর্গ প্রকাশ পায়।
মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাশে ত্বক আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ। একটুতেই নখ ভেঙে যায়। সারাদিন ঘুম পায়, ক্লান্তি থাকে। আয়রনের ঘাটতি থাকলে অনেক সময় ঋতুস্রাবের সময়ও কম রক্তক্ষরণ হয়। এর মধ্যে যে কোনও একটি উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে আপনি নিজেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।
কম বয়সে যদি দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয়, তাহলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে আপনার সন্তান কম বয়সেই বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। এটা গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি ভ্রূণের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। অনেক সময় প্রিম্যাচিওর শিশুও জন্ম দেয়। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগ ডেকে আনে। কিন্তু এটা নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার নেই। আপনি যদি ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া-দাওয়া করেন, তাহলে সহজেই আয়রনের ঘাটতি প্রতিরোধ করতে পারবেন। এনএইচএস ইউকে অনুসারে, আপনার খাদ্যতালিকাই আয়রনের ঘাটতির অন্যতম কারণ।
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পাতে সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, মাংসের যকৃৎ, বিভিন্ন ধরনের ডাল, তাজা ফল, আমন্ড, কিশমিশ, ওটস ইত্যাদি খেতে পারেন। এছাড়া চা, কফি, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারের ব্যবহার কমিয়ে দিন। এই ধরনের খাবার দেহে আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
