Vegan Diet: বাতের ব্যথা কমাতে ভূমিকা রয়েছে ভেগান ডায়েটের, জানতেন…
Arthritis Pain : ওজন বাড়লে শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। আর তার মধ্যে কিন্তু থাকে বাতের ব্যথা, আর্থ্রাইটিসের সমস্যাও। আর তাই ডাক্তাররা জোর দিচ্ছেন নিরামিষ খাবারের উপরেই।
ওজন বাড়লে কিংবা ওবেসিটির সমস্যা হলে কিন্তু একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ওজন বাড়লে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাতে-পায়ে ব্যথা এসব তো থাকেই। সেই সঙ্গে আসে আর্থ্রাইটিসের সম্ভাবনাও। মূলত মেয়েদের মধ্যে এই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে। যে খানে বলা হয়েছে ভেগান ডায়েটই পারে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যার সমাধান করতে। কারণ এই ডায়েটে চর্বির পরিমাণ প্রায় থাকে না বললেই চলে। সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, যাঁদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল গবেষণা শেষে তাঁদের যেমন ওজন কমেছে তেমনই কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গবেষক নীল বার্নার্ড যেমন জানিয়েছেন, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য যে কোনও জয়েন্টের ব্যথার জন্যই উপকারী। তিনি আরও যোগ করেন, ওজন কমলে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলেই কিন্তু একাধিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কারণ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি সাধারণ অটোইমিউন রোগ যা সাধারণত জয়েন্টে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং শেষ পর্যন্ত জয়েন্টের স্থায়ী ক্ষতি করে।
প্রথমে যাঁদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়, তাঁরা সকলেই কিন্তু এই আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় ভুগছিলেন। এঁদের প্রত্যেকের ডিজিজ অ্যাক্টিভিটি স্কোর-28 (DAS28), কতটা ফোলা অংশ রয়েছে এবং সি-প্রোটিনের উপর ভিত্তি করেই গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণাই নির্দেশ করে শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা কতটা বাড়ছে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়লে DAS28 বেড়ে যায়।
এরপর মোট ৪৪ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর চালানো হয়। মোট ১৬ সপ্তাহের জন্য তা চালানো হয়। আর ৪৪ জনকে ২ টি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রথম দলটিকে চার সপ্তাহ টানা শুধুই নিরামিষ খাবার দেওয়া হয়। তিন সপ্তাহের জন্য অতিরিকিক্ত খাবার বাদ রাখা হয় কিন্তু আমিষ দেওয়া হয়। তারপর টানা আবার নিরামিষ খাবার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দলটিকে শুধুই প্লাসিবো ক্যাপসুল খেতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গবেষণায় যার কোনও প্রভাব পড়েনি। ১৬ সপ্তাহের জন্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলকেই নিরামিষ ডায়েট দেওয়া হয়েছিল। এরপর দেখা যায় যাঁরা দীর্ঘসময়ের জন্য নিরামিষ খাবার খেয়েছেন তাঁদের DAS28 আগের থেকে ২ পয়েন্ট করে কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে জয়েন্টের ব্যথাও। যাঁরা ভেগানডায়েট মেনে চলেছেন তাঁদের VAS-রেটিংও আগের তুলনায় বেড়েছে।
এছাড়াও যাঁরা ভেগান ডায়েটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তাঁদের কিন্তু কোনও ওষুধও দেওয়া হয়নি। ওষুধ ছাড়াই কমেছে তাঁদের ওজন। এমনকী কমেছে জয়েন্ট পেইনও। ভেগা ডায়েটে ১৪ পাউন্ড করে ওজন কমেছে যেখানে মাছ-মাংস খেয়ে ওজন বেড়েছে ২ পাউন্ড। ভেগান ডায়েটে কোলেস্টেরলও অনেক বেশি পরিমাণে কমেছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।