AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kidney Stone: গরমে কিডনি স্টোন ঠেকাতে বেশি করে জল খান, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের…

Nephrolithiasis: গরমের দিনে কিডনির সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। আর তাই এই সময় জল বেশি করে খেতে হবে। প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে

Kidney Stone: গরমে কিডনি স্টোন ঠেকাতে বেশি করে জল খান, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের...
কেন গরমে বাড়ে কিডনির সমস্যা
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 7:48 PM
Share

শরীরে যাবতীয় ছাঁকনি প্রক্রিয়ার কাজ করে কিডনি। আর তাই শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার দায়িত্বও কিন্তু কিডনির উপরই রয়েছে। যে কারণে কিডনি যাতে ঠিক থাকে সে দিকে প্রথম থেকেই নজর দেওয়া দরকার। কিডনির অসুখ ধরা পড়তে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। একটা কিডনি বিকল হলে অন্য কিডনি দিয়ে কাজ চলতে থাকে। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত না ৮০ শতাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে তার আগে টের পাওয়া যায় না। রক্তেক অম্লত্ব-ক্ষারত্বের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্বও কিন্তু কিডনির। আর তাই কতটা পরিমাণ খাবার খাবেন তা বুঝে খেতে হবে। সেই সঙ্গে মেপে জলও খেতে হবে। কম জল খেলেই চাপ পড়ে কিডনির উপর। সেখান থেকেই কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা বাড়ে। মূত্রে উপস্থিত ক্যালশিয়াম অক্সালেট যদি শরীরে বেশি পরিমাণে জমে যায় সেখান থেকেই কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

কেন কিডনিতে স্টোন (Kidney Stone) হয়

কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) বর্তমানে অতিপরিচিত একটি রোগ। ডাক্তারি ভাষায় একে Nephrolithiasis বা Urolithiasisও বলা হয়। প্রায় সব ঘরেই রয়েছে এমন সমস্যা। মূলত জল কম খাওয়া থেকেই কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত। এছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে কিডনির সমস্যা আসবেই। কিডনির সমস্যা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যু অবধারিত। খাদ্যাভ্যাস যদি ঠিক না থাকে, যদি শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেশি হয়, নিয়মিত ভাবে কোনও সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধ চলতে থাকে তাহলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও যাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যে থাকেন, প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খান তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি হয়। সাধারণত মরুভূমি ও মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি। এছাড়াও অতিরিক্ত গরমে কিন্তু বাড়ে কিডনির সমস্যা। এই সময় শরীর প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল শোষণ করে নেয়। তবে তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। যে কারণে সমস্যা অনেক বেশি জটিল হয়ে যায়।

কিডনি স্টোনের লক্ষণ 

প্রস্রাব করতে গেলে ব্যতা বা জ্বালা ভাব

বার বার প্রস্রাব পায় কিন্তু তা ঠিকমতো হয় না

প্রস্রাবের রং ঘন হলুদ হয়ে যায়

কোমর, তলপেটে অসহ্য ব্যথা

কোনও কিছু খেতে না পারা। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার কোনও ইচ্ছে থাকে না। সব  সময় বমি বমি ভাব লেগেই থাকে।

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও কিন্তু কিডনি স্টোনের লক্ষণ।

আর তাই যা কিছু মেনে চলতে হবে

রোজ নিয়ম করে ৮-১০ গ্লাস জল খেতেই হবে। পাশাপাশি ডাবের ডল, বিভিন্ন ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া অভ্যাস করুন। এতে কিডনির উপর চাপ কমে। শরীরও থাকে সুস্থ।

মদ্যপান একেবারেই নয়। সেই সঙ্গে তেল মশলাদার খাবার কম খেতে হবে। মাংস পরিমাণে কম খান।

অতিরিক্ত নুন, জাঙ্কফুড, বেশি পরিমাণ প্রোটিন, চকোলেট, বিটরুট, পালং শাক, বাদাম এসব সচেতন ভাবেই এড়িয়ে চলা উচিত।

সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। ওষুধ খান। প্রয়োজনে অপারেশন করতে হতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।