Acidity-Home Remedies: অম্বলের ধাত? হেঁশেলের এই ৪ উপকরণ হতে পারে অ্যান্টাসিডের বিকল্প
Health Tips: আপনিও জানেন যে, একটু খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হলেই চোঁয়া ঢেকুর উঠতে থাকে। তার সঙ্গে জিভে টক স্বাদ, বুক ও গলা জ্বালা, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকী গ্যাস জমে পেট ফুলে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও লোভনীয় খাবার ছাড়া যায় না।

অ্যাসিডিটি খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অগ্রাহ্য করলে আপনাকে গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ এনে দিতে পারে। ঘন ঘন গ্যাস-অম্বল হওয়া ভাল লক্ষণ। কিন্তু তাতেও আপনি মুখরোচক খাবারের প্রতি মায়া ত্যাগ করতে পারেন না। বাইরের রোল, চাউমিন খেলেই যে অম্বল হয়, তা নয়। বাড়ির বানানো কষা মাংস, চিংড়ির মালাইকারি খেলেও অ্যাসিডিটি হতে পারে। আপনিও জানেন যে, একটু খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হলেই চোঁয়া ঢেকুর উঠতে থাকে। তার সঙ্গে জিভে টক স্বাদ, বুক ও গলা জ্বালা, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকী গ্যাস জমে পেট ফুলে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও লোভনীয় খাবার ছাড়া যায় না।
আবার সামনেই পুজো। সুতরাং, আরও অনিয়ম হবে। কিন্তু অসুস্থ হওয়া চলবে না। তাই কিছু ঘরোয়া টোটকা জেনে রাখুন। যে দিনই একটু খাওয়া-দাওয়ার গণ্ডগোল হবে কিংবা বদহজম হয়ে যাবে, এই টোটকা কাজে লাগাতে পারবেন। নিমেষের মধ্যে গ্যাস-অম্বল থেকে স্বস্তি দেবে। আর যেহেতু কথায়-কথায় অ্যান্টাসিড খাওয়া উচিত নয়, তাই এই ঘরোয়া প্রতিকার আপনার জন্য আরও ফলদায়ক হবে।
আদা: আদা শুধু প্রদাহ কমাতে সহায়ক নয়, আপনার হজমশক্তিও উন্নত করে। অম্বল হয়ে এক কুচি আদা মুখে ফেলে রাখুন। এটি গা গোলানোর উপসর্গকে দূর করবে। পাশাপাশি রোজ আদা খেলে আপনার বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
জোয়ান ও মৌরি: জোয়ান বা মৌরি দিয়ে মুখশুদ্ধি করা বাঙালির বহু পুরনো অভ্যাস। এই অভ্যাসকে আপনিও রপ্ত করুন। জোয়ান ও মৌরি, এই দুই উপাদানই খাবারকে হজম হতে সাহায্য করে। আর গ্যাস-অম্বল হলে জোয়ান ভেজানো জল পান করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটের ফোলাভাব কমিয়ে দেবে।
জিরে: দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে চোঁয়া ঢেকুর দিচ্ছে? এক গ্লাস জলে জিরে মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ইষদুষ্ণ অবস্থায় ওই জল পান করুন। নিমেষের মধ্যে আপনার পেটের গ্যাস কমিয়ে দেবে। গ্যাস-অম্বলকে দূরে রাখতে এবং ওজন কমাতে আপনি রোজই জিরের জল পান করতে পারেন।
ডাবের জল: অনেক সময় মা-ঠাকুমাদের মুখে শুনবেন যে, পেট গরমের কারণে বদহজম হচ্ছে। কথাটা ভুল নয় কিন্তু। পেটকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ডাবের জল। পাশাপাশি হজমের সমস্যাকে দূর করে। এছাড়া আপনার শরীরকেও হাইড্রেট রাখে। সকালে খালি পেটে কিংবা দুপুরের খাওয়া শেষ করে আপনি ডাবের জল পান করতে পারেন।
