Diabetes Symptoms: আপনার সন্তান ডায়াবেটিস ১ আক্রান্ত নয় তো? এই সাধারণ লক্ষণকে অবহেলা করবেন না
Children Health: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি এক জীবনযাপনজনিত রোগ হলেও, অনেকের ক্ষেত্রে অটোইমিউন ডিসঅর্ডার-এর কারণে আক্রান্ত হতে পারেন। আসলে রক্তে শর্করার মাত্রা অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের কারণে বেড়ে যেতে পারে যা সাধারণ ভাবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলেই পরিচিত।

ডায়াবেটিস এমন এক অবস্থা যখন রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘস্থায়ীভাবে বেড়ে যায়। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি এক জীবনযাপনজনিত রোগ হলেও, অনেকের ক্ষেত্রে অটোইমিউন ডিসঅর্ডার-এর কারণে আক্রান্ত হতে পারেন। আসলে রক্তে শর্করার মাত্রা অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের কারণে বেড়ে যেতে পারে যা সাধারণ ভাবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলেই পরিচিত।
এই ধরনের ডায়াবেটিস সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি দেখা দেয়। যা কোষগুলির শর্করা ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন। ফলে শরীরে রক্তনালীর ভেতর শর্করা জমতে থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
প্রাথমিক পর্যায়েই এই রোগ শনাক্ত করা গেলে, এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মনে রাখবেন টাইপ ১ ডায়াবেটিস কিন্তু প্রভাবিত করতে পারে শিশুদেরও। তাই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গেলে তা কখনও এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। শিশুদের মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন?
বারবার প্রস্রাব হওয়া (Polyuria): শিশুরা বারবার প্রস্রাব করতে শুরু করলে, বিশেষ করে রাতে ঘুম ভেঙে প্রস্রাব করার প্রবণতা দেখা দিলে সাবধান হন। এর কারণ রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবে জল টেনে আনে। ফলে বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা যায়।
অতিরিক্ত তেষ্টা দেখা দিলে (Polydipsia): বারবার প্রস্রাবের কারণে শিশুরা অত্যধিক তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি জল খায়।
খিদে বেড়ে যাওয়া (Polyphagia): বেশি খাওয়া সত্ত্বেও শিশু যদি ক্ষুধার্ত থাকে নেপথ্যে থাকতে পারে ডায়াবেটিস। শরীর গ্লুকোজকে সঠিকভাবে শক্তিতে রূপান্তর করতে না পারলে এমনটা হতে পারে।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া: স্বাভাবিক বা বেশি খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমতে থাকলে সতর্ক হন। কারণ শরীর শক্তির জন্য চর্বি ও পেশী ভাঙতে শুরু করে। এটিও ডায়াবেটিস ১–এর লক্ষণ হতে পারে।
ক্লান্তি: কোষগুলো যথেষ্ট গ্লুকোজ না পাওয়ায় শিশুরা অস্বাভাবিকভাবে ক্লান্ত, দুর্বল বা কম সক্রিয় দেখায়।
দৃষ্টিশক্তি কমে আসা: রক্তে অতিরিক্ত শর্করা চোখে ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে, ফলে সাময়িকভাবে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।
রাগ বা মেজাজ পরিবর্তন: হঠাৎ মেজাজ বদল, বিরক্তি বা মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
আঘাত বা ক্ষত সারতে দেরি হলে: ছোটখাটো কাটা-ছেঁড়া, আঘাত বা সংক্রমণ সারতে অনেক সময় লাগে, যা রক্তে শর্করার অস্বাভাবিক মাত্রার ইঙ্গিত।
বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া: রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস (DKA) হতে পারে, যার সঙ্গে পেটব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া দেখা দেয়।
