AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Blood Sugar Level: খাবার খাওয়ার পর হঠাৎই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়? চিন্তার কোনও কারণ নেই, এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন…

আপনি কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করেও রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু সহজ উপায়ও আছে। আসুন, সেই উপায়গুলি জেনে নেওয়া যাক...

Blood Sugar Level: খাবার খাওয়ার পর হঠাৎই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়? চিন্তার কোনও কারণ নেই, এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন...
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 7:16 AM
Share

কম বেশি আমরা সকলেই জানি যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত না হলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে জটিলতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে হৃদরোগের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং পায়ের সমস্যার মতো বিভিন্ন ঝুঁকির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, খাওয়াদাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে আফটার মিল হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। এটি বেশ কয়েকটি কারণের জন্য হয়, যেমন – খাবারের পরিমাণ, খাবারের সময়, ওষুধের সময়। এছাড়াও আপনি কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করেও এটা হতে পারে। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু সহজ উপায়ও আছে। আসুন, সেই উপায়গুলি জেনে নেওয়া যাক…

১) আগে থেকেই খাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখুন: মিষ্টি, সাদা পাউরুটি এবং অন্যান্য খাবারের পরিমাণ সীমিত করুন। খাওয়ার পর এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই, কী খাবার খাবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে, এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে।

tips to control blood sugar level after meals

২) অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন: বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারি খাবার খাওয়ার পরিবর্তে অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি আপনাকে হঠাৎ সুগার লেভেল ওঠানামা রোধ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে, দিনে ৩টি বড় খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, বারে বারে অল্প পরিমাণে খাবার খেলে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩) চিনির সেবন যথাসম্ভব কম করুন: সুক্রোজ এবং হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলি খালি ক্যালোরি ছাড়া আর কিছুই নয়। শরীর এই সাধারণ শর্করাগুলিকে খুব সহজেই ভেঙে ফেলে, যার ফলে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শর্করা গ্রহণ ইনসুলিন নিঃসরণে বাধা দেয়। শরীর রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।

৪) ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্য, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দুর্দান্ত কার্যকর। বিশেষ করে দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করার স্পাইক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি জলে দ্রবীভূত হয়ে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে, যা অন্ত্রে কার্বোহাইড্রেট শোষণকে ধীর করতে সহায়তা করে। তাছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতেও সহায়তা করে। যার ফলে বারে বারে খিদের অনুভূতি কমে। দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি হল – ওটমিল, বাদাম, বিভিন্ন শাকসবজি, আপেল, কমলালেবু, ব্লুবেরি, প্রভৃতি।

৫) বেশি করে জল পান করুন: পর্যাপ্ত জল পান না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। শরীর ডিহাইড্রেট হলে, শরীরে ভ্যাসোপ্রেসিন নামক একটি হরমোন উৎপাদন হয়। এটি কিডনির তরল ধরে রাখতে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত চিনি বের করে দিতে বাধা দেয়। তাছাড়া, লিভারও রক্তে অতিরিক্ত শর্করা সরবরাহ করে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে ভুলবেন না যেন।

আরও পড়ুন: Calcium: দুধ খেতে অপছন্দ? দুধ ছাড়াও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে এই ৪টি খাবারে

আরও পড়ুন: Post-Diwali Detox Tips: জিমে গিয়ে ঘাম আর ঝরাতে হবে না! পোস্ট-দিওয়ালি ডিটক্স টিপসেই হবে কেল্লাফতে!