Omicron: ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কি প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরে গড়ে উঠবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? পড়ুুন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ…

এখনও কিছু মানুষ ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাই উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা জরুরি। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে তাঁদের ক্ষেত্রে থাকছে লং কোভিডে ভোগার সম্ভাবনাও

Omicron: ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কি প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরে গড়ে উঠবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? পড়ুুন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ...
ওমিক্রনে থেকে যাচ্ছে লং কোভিডের সম্ভাবনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2022 | 3:20 PM

গত দু বছরে মানুষ নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেককানিই সচেতন হয়েছে। মাস্কের ব্যবহার ( Use mask), হাত ধোয়া এখনও যেমন অনেকেই রপ্ত করতে পারেননি তেমনই অনেকেই কিন্তু এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোভিডের ( Covid 19)প্রথম দিন থেকেই বিশেষজ্ঞরা বার বার জোর দিয়েছেন ইমিউনিটি ( Immunity) বাড়ানোর উপরেই। সেই সঙ্গে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দিয়েছেন সকলেই। সেই সঙ্গে নিজেদের গৃহন্দিও রেখেছেন। কিন্তু তারপরও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। তবে এবার ওমিক্রনে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হলেও রোগ লক্ষণ কিন্তু তেমন তীব্র নয়। এমনকী বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে শরীরে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন আদৌ তাঁরা উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই সংক্রমিত হবেন কিনা।

শুধু তাই নয়, অনেকের মনে হয়েছে একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়া অনিবার্য। এছাড়াও অনেকের ধারণা হয়েছিল একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেই কোভিডের বিরুদ্ধে যাবতীয় অনাক্রম্যতা গড়ে তোলা সম্ভব। শরীর তখন নিজেই যাবতীয় রোগ প্রতিরোধেকর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠবে। শরীর যখন নিজেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে তখন ভবিষ্যতেও সেটি ভাইরালের অন্যান্য রূপের সঙ্গে লড়াই করার জন্যও কিন্তু প্রস্তুত। সেই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা যথেষ্ট শক্তিশালী, এ কথা কিন্তু বারবার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু ‘এই ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনও ভাবেই নিজেকে জোর করে সংক্রমিত করবেন না’। পরামর্শ, ডাঃ রাকেশ পণ্ডিতের, সিনিয়র কনসাল্টটেন্ট, বিভাগীয় প্রধান ইন্টারনাল মেডিসিন, আকাশ হেলথ কেয়ার, দ্বারোকা। তিনি বলেছেন করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য RT-PCR পরীক্ষা করানো খুবই জরুরি। কে কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবে তার কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। আর এখনও আমাদের দেশে ১০-১৫ শতাংশ মানুষ ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই করপোনা হলে তিনি ডেল্টা নাকি ওমিক্রনে আক্রান্ত তা কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া কিছুতেই বলা সম্ভব নয়।

এছাড়াও সংক্রমণেক তীব্রতা কিন্তু নির্ভর করে ভাইরাল লোডের উপর। কোভিড ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া কিন্তু কোনও ওষুধের ডোজ নেওয়ার মত ন.। ভাইরাস আমাদের শরীরে আক্রমণ করার পর শরীর ততখানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারছে তার উপরও কিন্তু নির্ভর করে। যদি ভাইরাল লোড বেশি থাকে তাহলে তাঁর থেকে অন্যদের সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কিন্তু অনেকখানি বেড়ে যায়। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ মৃদু হলেও যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদোর কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে ১০ দিনের জন্য। কারণ সর্দি, কাশি, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, পেশির ব্যথা, ক্লান্তি এসব লেগেই থাকছে। আর সংক্রমন থেকতে সেরে উঠলেও সর্দি, কাশি, কফ, খেতে ইচ্ছে না করা, স্বাদ চলে যাওয়া, বমি বমি ভাব এসব কিন্তু লেগেই থাকে দীর্ঘদিন। এমনকী কি ওমিক্রনে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগেরই লং কোভিডের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে কিছু জটিলতাও। আর তাই ভ্যাকসিন সকলকেই নিতে হবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।