Sleeping Partner: শয্যাসঙ্গী হিসেবে পুরুষ নয়, বিছানায় কুকুর থাকলে বিশেষ উপকৃত হন মহিলারা!

Dogs, Not Man: ক্রিস্টি এল. হফম্যান, পিএইচডি-র নতুন গবেষণা অনুসারে, সঙ্গীর থেকে মানুষের সেরা বন্ধুর সঙ্গে রাতের বিছানায় বেশি স্বাচ্ছন্দ অনুভব করেন মহিলারা।

Sleeping Partner: শয্যাসঙ্গী হিসেবে পুরুষ নয়, বিছানায় কুকুর থাকলে বিশেষ উপকৃত হন মহিলারা!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 12:20 PM

পুরুষ (Men) বা পোষ্য বেড়াল (Pet Cat) নয়, বিছানায় শয্যাসঙ্গী হিসেবে প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুকুরের নাম! প্রেমিকা বা স্বামীদের চেয়ে গা ঘেঁষে থাকা লোমশ কুকুর ( Pet Dog) থাকলে মহিলাদের রাতের ঘুম হয় গভীর। গবেষণায় এ-ও উঠে এসেছে, ঘুমের সঙ্গী (Sleeping Partners) হিসেবে তো বটেই, বিছানা শেয়ার করার ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় কুকুরকেই বেশ পছন্দ মহিলাদের। গবেষকদের মতে, রাতের বিছানায় পোষ্যকে নিয়ে ঘুমোলে ঘুম যেমন ভাল হয়, তেমনি মেজাজও থাকে ফুরফুরে। যাঁরা ভাবছেন বিছানায় শোওয়ার প্যাটার্ন বদল করলেও ঘুমের মান ভাল হয়, তাদের জন্য রইল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য়।

বিছানায় শুলেই তারস্বরে নাক ডাকিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস থাকলে সাবধান হোন এখনই। কারণ, নয়া গবেষণায় বলা হয়েছে, মহিলারা শয্য়াসঙ্গী হিসেবে পুরুষ নয়, বেড়াল নয়, পাশে যদি পোষ্য কুকুর থাকে, তাহলে মহিলারা তুলনামূলকভাবে আরাম অনুভব করে থাকেন। যে মহিলারা নিশ্চিন্তে রাতের ঘুমের দেশে যেতে চান, তারা পোষ্যকে জড়িয়ে ধরে আরামসে শুতে পারেন। ক্রিস্টি এল. হফম্যানের পিএইচডি-র নতুন গবেষণা অনুযায়ী, পুরুষসঙ্গীর চেয়ে মানুষের সেরা বন্ধুর সঙ্গে রাতের বিছানায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য থাকেন মহিলারা। গবেষকদের কথায়, যদি ভাবেন শুধুমাত্র কুকুর কেন, বেড়াল নয় কেন? তাহলে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য ওস্তাদ বেড়াল। তবে মালিকের ঘুমে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিক সজাগ থাকে একমাত্র কুকুরই। সেই তুলনায় অনেক কম বিরক্ত করে সারমেয়রা। শুধু তাই নয়, এমন অনেক পোষ্য কুকুর রয়েছে, দরকার হলে গভীর রাতে কখনও মালিককে জাগিয়ে দেয় না।

হফম্যানের মতে, বেড়ালের ঘুমের ধরন মানুষ ও কুকুরদের থেকে অনেকটাই আলাদা। কুকুরের ঘুমের ধরন মানুষের ঘুমের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে। যেমন একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যেস তৈরি হয়ে যায় সারমেয়দের। অন্যদিকে, বিছানার অর্ধেকেরও বেশি জায়গা নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যেস থাকে বেড়ালের। সেই তুলনায় অনেক কম জায়গাতেই ঘুম দেয় সারমেয়রা। এছাড়া বেড়ালের তুলনায় কুকুর অনেক বেশি আরামদায়ক। নিরাপত্তার দিক থেকেও সারমেয়রা সব পোষ্যের থেকে এগিয়ে।

হফম্যানের গবেষণাটি মার্কিন দেশের প্রায় হাজার জন বাসিন্দাদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। অ্যানথ্রোজুসের নভেম্বর সংখ্যায় সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে,

– বেড়ালের চেয়ে কুকুরের ঘুমানোর অভ্যাস ও প্যাটার্ন অনেকটা মানুষেরই মতন। শুধু তাই নয় মালিকের শুতে যাতে কোনও কষ্ট না হয়, সেদিকে নজর থাকে কুকুরের।

– পুরুষসঙ্গী বা বেড়াল , ঘুমোনোর সময় ঘটনাচক্রে নানাভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে। নাক ডাকা, বারবার এপাশ-ওপাশ করা, বিছানার চারিদিকে ঘুরতে থাকা, অনেকটা জায়গা জুড়ে ঘুমোনোর অভ্যাসে বিরক্ত হোন মহিলারা। এই বাজে গুণগুলির কোনওটাই কুকুরের মধ্যে নেই।

হফম্যানের কথায়, বেশ কিছু কুকুর রয়েছে যারা ঘুমের মধ্যেও দারুণ সজাগ থাকে। জরুরি পরিস্থিতিতে মালিককে জাগিয়ে তুলে দিতে ও অনাগতকে বাড়ি থেকে তাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। নিরাপত্তার দিক থেকে তো বটেই মানসিক শান্তির জন্যও রাতের বিছানায় সঙ্গী হিসেবে কুকুর থাকা ভাল।