পঞ্জাবে ভাঙচুর ১৫০০ জিয়ো টাওয়ার, সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থেকে শুরু করে টাওয়ার ভাঙচুর বা সংযোগকারী তার কেটে দেওয়া প্রভৃতির অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে।

পঞ্জাবে ভাঙচুর ১৫০০ জিয়ো টাওয়ার, সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিস। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 29, 2020 | 12:12 PM

চন্ডীগঢ়: কৃষকদের ক্ষোভের মাশুল গুনতে হচ্ছে রিলায়েন্স জিয়ো (Reliance Jio)-কে। পঞ্জাবে কৃষি আইনের  (Farm Laws) প্রতিবাদে আন্দোলনকারী কৃষকরা প্রায় ১৫০০-রও বেশি রিলায়েন্স জিয়োর টাওয়ার (Jio mobile towers) ভাঙচুর, জেনারেটর চুরি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিঘ্নিত করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amrinder Singh) ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সর্তকবার্তা জারি করেছেন।

আন্দোলনকারী কৃষকরা বিগত এক সপ্তাহ ধরে রিলায়েন্সের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থেকে শুরু করে টাওয়ার ভাঙচুর বা সংযোগকারী তার কেটে দেওয়া প্রভৃতির অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে। পঞ্জাবের জলন্ধরে জিয়োর ফাইবার কেবল (Fiber Cable) জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়।

হাত গুটিয়ে থাকেনি পুলিসও। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থাও করেছেন তারা। তবে কৃষকদের ক্ষোভে সামাল দিতে সোমবার ময়দানে নামেন আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি কৃষকদের সতর্ক করে বলেন, “কোনও ব্যক্তিগত বা সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি মেনে নেওয়া হবে না।” রাজ্যে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বা সাধারণ মানুষের অসুবিধা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

আরও পড়ুন: ‘নয়া’ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটেন ফেরত ৬ ব্যক্তি

তিনি কৃষকদের অনুরোধ করে বলেন, “ইন্টারনেন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা, বিশেষত যারা বোর্ডের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া করোনা সংক্রমণের কারণে যারা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, তাদের কাজেও প্রভাব পড়বে। বর্তমানে ব্যাঙ্ক পরিষেবাতেও আর্থিক লেনদেনের অধিকাংশ কাজই অনলাইনে হয়, ফলে সেক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হবে।”

৩৩তম দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest)। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকরা পাঁচ দফা বৈঠকে বসলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। আজ বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে। একটানা একমাস ধরে আন্দোলন চলার পরও কোনও সমাধানসূত্র না মেলাতেই ক্রমশ্য অধৈর্য্য হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।

আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক। মুকেশ অম্বানি (Mukesh Amban)-র রিলায়েন্স জিয়োর উপর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের কারণ হিসাবে কৃষকরা জানিয়েছেন, নয়া কৃষি আইনে কৃষকদের বদলে বেসরকারি সংস্থাগুলিই লাভবান হবেন। আর এই সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল অম্বানির সংস্থা।

আরও পড়ুন: রেললাইনের ধারে মিলল কর্নাটকের ডেপুটি স্পিকারের মৃতদেহ