Encounter in J&K: গ্রামে ঢুকতেই পিছন থেকে চলেছিল গুলি, সোপিয়ানে এনকাউন্টারে খতম ২ লস্কর জঙ্গি
Encounter in J&K: জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার কিলবাল গ্রামে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। ওই খবরের সূত্র ধরেই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায়।
কাশ্মীর: সপ্তাহ শেষে ফের গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হল উপত্য়কা। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সোপিয়ান জেলায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই দুই জঙ্গিই লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাদের পরিচয়ও জানা গিয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার কিলবাল গ্রামে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। গোপন সূত্রে পাওয়া ওই খবরের সূত্র ধরেই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায়। তখনই হামলা চালায় জঙ্গিরা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কিলবাল গ্রামের যে অঞ্চলে জঙ্গিরা লুকিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল, সেখানে যৌথ বাহিনী প্রবেশ করতেই পিছন থেকে হামলা চালায়। যৌথ বাহিনীর উপর জঙ্গিরা গুলি চালাতেই পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। শুরু হয় গুলির লড়াই। প্রায় দুয়েক ওই এনকাউন্টার অভিযান চলে। পরে সংঘর্ষস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, ওই দুই জঙ্গির নাম সমীর আহমেদ শাহ ও রায়েস আহমেদ মির। সমীর সোপিয়ানের ধনগামের বাসিন্দা এবং রায়েস পুলওয়ামার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, দুজনই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী, দুইজন জঙ্গিই একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ও উপত্যকার সাধারণ বাসিন্দাদের উপরও তারা হামলা চালিয়েছিল।
সংঘর্ষস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। পরবর্তী তদন্তের জন্য অস্ত্রগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোথা থেকে ওই অস্ত্রগুলি এসেছে,. তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অবন্তিপোরা পুলিশ ও সিআরপিএফের ৫৫ ও ১৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বাহিনীও এক জঙ্গিকে অবন্তিপোরা থেকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গির নাম উমর ফারুক ভাট। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওই জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।