AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bihar Court Judge Attacked: শুনানি চলাকালীনই দুই পুলিশকর্মীর বন্দুকের নিশানায় বিচারপতি, আতঙ্ক আদালত চত্বরে

Bihar Court Judge Attacked: বৃহস্পতিবার সকালে মধুবনির ওই আদালতে একটি মামলার শুনানি চলছিল। আচমকাই দুই পুলিশ কর্মী বন্দুক তাক করেন অতিরিক্ত জেলা ও ঝঞ্জারপুর সেশন আদালতের বিচারক অবিনাশ কুমারের দিকে।

Bihar Court Judge Attacked: শুনানি চলাকালীনই দুই পুলিশকর্মীর বন্দুকের নিশানায় বিচারপতি, আতঙ্ক আদালত চত্বরে
খনি কর্মীকে খুন (ফাইল চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 3:59 PM
Share

পটনা: আদালতে সুরক্ষিত নন খোদ বিচারপতি(Judge)-ই। আদালত কক্ষে ঢুকে বিচারপতির দিকেই বন্দুক (Gun) তাক করলেন দুই পুলিশকর্মী (Police Officers)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহার(Bihar)-র মধুবনী জেলার একটি আদালতে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পটনা হাইকোর্ট(Patna High Court)-র তরফে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করা হয়েছে এবং ডিজিপিকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে মধুবনির ওই আদালতে একটি মামলার শুনানি চলছিল। আচমকাই দুই পুলিশ কর্মী বন্দুক তাক করেন অতিরিক্ত জেলা ও ঝঞ্জারপুর সেশন আদালতের বিচারক অবিনাশ কুমারের দিকে। এরপরই তাঁকে  আক্রমণ করে। ঘটনায় ওই বিচারক সুরক্ষিত থাকলেও গোটা ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীর নাম গোপাল কৃষ্ণ ও অভিমন্যু কুমার। গোপাল কৃষ্ণ স্টেশন হাউস অফিসার ও অভিমন্যু কুমার সাব ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিচারপতি ছাড়াও আদালত কক্ষে উপস্থিত আইনজীবী ও অন্যান্য কর্মীরা যারা বিচারপতিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাদেরকেও আক্রমণ করেন ওই দুই পুলিশকর্মী।

গোটা বিষয়টি জানতে পেরেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পটনা হাইকোর্ট। গোটা ঘটনাকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে বিচারপতি রাজন গুপ্ত ও বিচারপতি মোহিত কুমার শাহ ডিজিপিকে আগামী ২৯ নভেম্বর রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। হামলার ঘটনায় পুলিশ জড়িত থাকায় ডিজিপিকেও শুনানি চলাকালীন উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রাথমিকভাবে এই ঘটনা বিচার করলে গোটা বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতাই বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এই বিষয়টিতে মুখ্যসচিবকে দৃষ্টিপাত করার আবেদন জানানো হচ্ছে। বিহারের ডিজিপি, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব ও মধুবনির পুলিশ সুপারকেও এই বিষয়ে নজর দিতে বলা হচ্ছে।”

জানা গিয়েছে, মধুবনির সেশন আদালতের বিচারকের আবেদনেই পটনা হাইকোর্টের নজরে এই বিষয়টি আনা হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, গতকাল সন্ধে সাতটা নাগাদ বিশেষ শুনানির ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে, পুলিশের শীর্ষ কর্তারা এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

আরও পড়ুন: Pilgrims Stranded at Tirumala Temple: পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে নামছে জল! ধসের ভয়ে কাঁপছে তিরুমালার মন্দিরে আটকে পড়া পুণ্যার্থীরা