Pilgrims Stranded at Tirumala Temple: পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে নামছে জল! ধসের ভয়ে কাঁপছে তিরুমালার মন্দিরে আটকে পড়া পুণ্যার্থীরা

Flood in Tirumala: তিরুমালার মন্দিরেও পুণ্যার্থীরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছেন, তা বলা যায় না। গতকালই ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারায়ণগিরি গেস্ট হাউসের তিনটি রুম।

Pilgrims Stranded at Tirumala Temple: পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে নামছে জল! ধসের ভয়ে কাঁপছে তিরুমালার মন্দিরে আটকে পড়া পুণ্যার্থীরা
হু হু করে বাড়ছে বন্যার জল। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 7:32 AM

তিরুপতি: বিপদের আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বন্যায় (Flood) তিরুমালার মন্দিরে (Tirumala Temple) আটকে পড়লেন ২০০-রও বেশি পুণ্যার্থী। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) ও অন্ধ্র প্রদেশ (Andhra Pradesh) জুড়ে যে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তার প্রভাবেই মন্দিরের শহর তিরুপতিও ভাসছে।

অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তোর জেলার একাধিক অংশে ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিরুমালা পাহাড়ের উপর অবস্থিত তিরুমালা মন্দিরের সঙ্গে সংযোগকারী চারটি প্রধান রাস্তাই সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পুণ্যার্থীরা মন্দির চত্বরেই আটকে পড়ায় ভার্চুয়ালি ভগবান দর্শনও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।  তিরুমালার জাপালি আঞ্জনেয়া স্বামীর মন্দিরেও জল ঢুকে যাওয়ার খবর মিলেছে। ঈশ্বরের মূর্তিও জলের তলায় চলে গিয়েছে।

আটকে পড়ায় পুণ্যার্থীদের জন্য তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানম কমিটির তরফে বিনামূল্যে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরের কর্মীদের উপর অত্যাধিক চাপ পড়ায় আজ সমস্ত কর্মীকে ছুটিও দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিরুমালা মন্দিরে যাবার দুটি ঘাটের রাস্তা বন্যা ও ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আলিপিরি থেকে মন্দির যাওয়ার যে সিড়ি ছিল, তাও ধসের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্যার জলে ভাসছে তিরুপতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। গতকালই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিমান অবতরণ বন্ধ করে দিতে হয়।

বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু থেকে আসা দুটি বিমানকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি তেকে তিরুপতিগামী একটি বিমানও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে।

এদিকে, তিরুমালার মন্দিরেও পুণ্যার্থীরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছেন, তা বলা যায় না। গতকালই ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারায়ণগিরি গেস্ট হাউসের তিনটি রুম। সেই সময় ওই রুমে কোনও অতিথি না থাকায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ওই গেস্ট হাউসের সমস্ত অতিথিদের কাছেরই অপর একটি গেস্ট হাউসে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তিরুপতিতেও ভারী বৃষ্টির জেরে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে দুটি অটো। স্বর্ণমুখী নদীও প্লাবিত হয়ে রাস্তায় জল বইতে শুরু করেছে। অঞ্জনাপুরমের রেনিগুণ্টা-কাডাপা হাইওয়ের উপর অবস্থিত একটি ব্রিজও যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। জানা গিয়েছে, ওই ব্রিজের মাঝেই একটি ট্রাক আটকে রয়েছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পুলিশ পৌঁছেছে, তারা উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা করছে।

বন্যা পরিস্থিতির খবর শুনেই চিত্তোরের জেলাশাসক এম হরি নারায়ণের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি। মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। নদী জলস্তর কতটা বাড়ছে, তার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের দলকে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকার্যের জন্য। এছাড়াও প্রতিটি দফতরকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।