Bhopal: ‘আমি দুশ্চরিত্র নই’, স্বামীর ছবির পিছনে লেখা নোট, মহিলার অবস্থা দেখে কেঁদে উঠল পরিবার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jul 17, 2022 | 2:40 PM

Madhya Pradesh: ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে সব মিলিয়ে ৩টি নোট খুঁজে পায়। একটি নোট মহিলার দুই হাতের তালুতে লেখা ছিল, এবং তাঁর স্বামীর ছবির পিছনেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লেখা ছিল।

Bhopal: আমি দুশ্চরিত্র নই, স্বামীর ছবির পিছনে লেখা নোট, মহিলার অবস্থা দেখে কেঁদে উঠল পরিবার
ছবি: সংগৃহীত

Follow Us

ভোপাল: দাম্পত্য জীবনের সমস্যা অনেক সময় এত বড় আকার ধারণ করে, সেখান থেকে নেমে আসে বড়সড় বিপর্যয়। সেই বিপর্যয়ের কারণে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিলেন মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভোপাল (Bhopal) নিবাসী এক মহিলা। জানা গিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই মহিলা সরকারি স্কুলে সঙ্গীতে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভোপালের ছোলা এলাকায় থাকতেন। নিজের ঘরে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের এক সদস্য। ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ওই মহিলা। মহিলার ঘর থেকে তাঁর স্বামীর ছবিতে লেখা একটি ছোট নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমি অবিশ্বাসের মতো কোনও কাজ করিনি’।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম ইন্দু সাহু। জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে ওই মহিলার সঙ্গে সুভাশ সাহু নামে এক ব্যক্তির বিয়ে হয়েছিল। মৃত মহিলার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, পরিবারের অন্য এক সদস্য মহিলার ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পাওয়া মাত্রই স্থানীয় লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারা এসে স্থানীয় থানার পুলিশে খবর দিয়েছিলেন।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে সব মিলিয়ে ৩টি নোট খুঁজে পায়। একটি নোট মহিলার দুই হাতের তালুতে লেখা ছিল, এবং তাঁর স্বামীর ছবির পিছনেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লেখা ছিল। নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার জন্য ওই মহিলা তাঁর বাবা-মা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল। সুইসাইড নোট তিনি লিখেছিলেন, “আমার ভাগ্য আমাকে মেরে ফেলবে।” তদন্তে নেমে ইন্দুর পরিবারে সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইন্দুর আত্মীয়রা তাঁকে নির্যাতন করত। ইন্দুর বাবা-মা পুলিশকে জানিয়েছে, ইন্দুর স্বামী তাঁকে সন্দেহ করত এবং সে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে।

স্বামীর পরিবারকে সে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে তাঁর সঙ্গে অন্য কারও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নেই, কিন্তু কেউ তাঁকে বিশ্বাস করেনি। মৃত মহিলার বাবা-মা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও তাঁর মেয়ের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। পুলিশের ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Next Article