সিংঘু সীমান্তে অশান্তি: গ্রেফতার তরোয়ালধারী সহ ৪৪ জন
তরোয়াল হাতে ধৃত ব্যক্তি আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে একজন বলেই জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ আটকাতে পুলিশ বাধা দিতে গেলে তরোয়ালের আঘাত লাগে প্রদীপ পালিওয়ালের হাতে। গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি।
নয়া দিল্লি: সিংঘু সীমান্তে (Singhu border) হিংসার ঘটনায় তরোয়ালধারী সহ মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, হত্যার চেষ্টা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকেই সিংঘু ও তিকরি সীমান্তে আসেপাশের গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জমা হয়ে কৃষকদের আন্দোলনস্থল ছেড়ে দিতে বলেন। দুপুরে সিংঘু সীমান্তে “খলিস্তান মুর্দাবাদ”, “তিরঙ্গার অপমান, মানবে না হিন্দুস্তান”-এইধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন কৃষকদের উদ্দেশ্যে। এরপর আচমকাই কৃষকদের উপর পাথর ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করে। সেই সময়ই এক আন্দোলনকারী কৃষক পুলিশের উপর তরোয়াল নিয়ে চড়াও হয়, আহত হন আলিপুর স্টেশন হাউস অফিসার প্রদীপ পালিওয়াল।
আরও পডুন: দিল্লি বিস্ফোরণ: পুলিশের হাতে আরও সিসিটিভি ফুটেজ, ক্যাব থেকে ঘটনাস্থলের দিকে ওরা কারা!
তরোয়াল হাতে ধৃত ব্যক্তি আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে একজন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তার মাঝেই কৃষকদের উপর ঢিল ছোড়া ও তাঁবু ছিড়ে দেওয়ার ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁরাও বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে যান। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তরোয়ালের আঘাত লাগে প্রদীপ পালিওয়ালের হাতে, গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, শুক্রবারই মুজাফ্ফরনগরে কৃষকদের “মহাপঞ্চায়েত” বসে। সেখানে আলোচনার পর তাঁরা জানান, প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও দিল্লির গাজিপুর সীমান্তে তারা আন্দোলন জারি রাখবেন। আইন প্রত্যাহার না হওয়া অবধি তাঁরা পিছু হটবেন না। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ, র্যাফ সহ প্রায় তিন হাজার নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে কৃষকরা সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা অবধি উপোস করবেন।
আরও পডুন: ‘ভারতের উপর আস্থা রয়েছে’, দিল্লি বিস্ফোরণের পর বার্তা ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রীর