Corona Outbreak: একদিনে ৯ শতাংশ কমল সংক্রমণ, একলাফে মৃত্যু কমে ৩৯৩
Corona cases in India: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৯২ জন।
নয়া দিল্লি: প্রায় দুবছর ধরে করোনা (Corona) জর্জরিত গোটা দেশ। কখনও বেড়েছে কখনো কমেছে করোনা। বিগত দু মাস আগেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে পনেরো হাজারের কাছাকাছি ছিল। এরপর সেই সংখ্য়াটা কমে ১০ হাজারের পৌঁছায়। গত কয়েকদিন ধরে সেই সংখ্যাটা কখনও আট কখনও বা দশ হজার হয়েছে। এদিকে, ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কে জর্জরিত গোটা দেশ। যদিও তার মধ্যেও রয়েছে আশার আলো। একে একে সুস্থ হচ্ছেন ওমিক্রন আক্রান্তরা। বৃহস্পতিবার রাতেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন মহারাষ্ট্রের আক্রান্ত ব্যক্তি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৯২ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৮ হাজার ৫০৩ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই কম। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩৯৩জন।
একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৬ জন। মোট ৯৩ হাজার ২৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে, দেশে ৯ হাজার ২৬৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ১৪ হাজার ৩৩১ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে আক্রান্তের নীরিখে এখনও দেশের দক্ষিণের দেশগুলিই এগিয়ে। তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে কেরল। সেখানে একদিনে ৩ হাজার ৯৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪০ জনের। দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ১২ জনের। আগের তুলানয় যেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। তৃতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৯ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কারোর মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, দিল্লিতে ৪১ জনের শরীরে করোনার হদিশ মিলেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহর কলকাতায় হইচই। রাতের বিমানে ব্রিটেন থেকে এক তরুণী এসেছেন যিনি কোভিড পজিটিভ। এদিকে ওমিক্রনের জন্য যে সমস্ত দেশকে ভারত সরকার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে তালিকাভূক্ত করেছে, তাতে নাম রয়েছে ব্রিটেনেরও। স্বভাবতই নতুন উদ্বেগ হাজির শহরে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনও কিছু উদ্বেগ বাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ।
শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৮ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬১০ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ।