Omicron Cases in Delhi: রাজধানীতেও বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক, নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত জিম্বাবোয়ে ফেরত যাত্রী
Omicron Cases in Delhi: শনিবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্য়েন্দর জৈন জানান, ওই ব্য়ক্তিও ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩-এ।
নয়া দিল্লি: রাজধানীতে বাড়ল ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি জিম্বাবোয়ে (Zimbabwe) থেকে আগত এক যাত্রীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরই জিনোম সিকোয়েন্সিং(Genome Sequencing)-র জন্য পাঠানো হয়েছিল। শনিবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্য়েন্দর জৈন (Satyendar Jain) জানান, ওই ব্য়ক্তিও ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩-এ।
গত রবিবার দিল্লিতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। এক সপ্তাহ পার হতেই দ্বিতীয় আক্রান্তের খোঁজও মিলল। আক্রান্ত ওই রোগীর ভ্রমণের ইতিহাস ঘেটে জানা গিয়েছে, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন সম্প্রতি. চলতি সপ্তাহেই তিনি জিম্বাবোয়ে থেকে দিল্লিতে ফেরেন। বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্ত ওই রোগীকে দিল্লির লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে (LNJP Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে ওমিক্রন রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে আগত ২৭ জন যাত্রীর করোনা রিপোর্ট আসতেই, তাদের এলএনজিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের সকলেরই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, ২৫ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। কেবল দুইজন রোগীর নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
এই নিয়ে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩-এ। শুক্রবারই মহারাষ্ট্রে ৭জন ও গুজরাটে ২ জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় মুম্বই পুলিশের তরফে দুই দিনের জন্য বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মুম্বই কমিশনারেটের অধীনে থাকা সমস্ত জায়গাতেই বড় জমায়েত, যেমন পথসভা বা বিক্ষোভ মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী দুই দিন যাতে মানুষ ও গাড়ির বড় জমায়েত না হয়, তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সম্প্রতি অমরাবতী, মালেগাঁও ও নান্দেদে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, তার প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও কঠোর করার চিন্তা করা হয়েছে।”
বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, তানজানিয়া থেকে আগত ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি ঘন জনবসতিপূর্ণ ধারাভি এলাকার বাসিন্দা। গত ৪ ডিসেম্বর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সেই সময় মৃদু উপসর্গ থাকলেও, বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির কোনও উপসর্গ নেই। বর্তমানে তাঁকে একান্তবাসে রাখা হয়েছে এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা দুইজনের করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছে। দুজনেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওই ব্যক্তি এখনও অবধি করোনা টিকার একটিও ডোজ় নেননি বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ২৫ বছর বয়সী যে যুবক ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সম্প্রতিই লন্ডন থেকে ফিরেছেন। গত ১ ডিসেম্বর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ওই যবুকের কোনও উপসর্গ নেই। করোনা টিকার দুটি ডোজ়ই ওই যুবকের নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৩৭ বছরের গুজরাটের এক বাসিন্দাও গত ৪ ডিসেম্বর বিদেশ থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হলে, তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি চারজন নতুন আক্রান্তরা পুণে জেলার পিম্পরি চিনচওয়াদ পুরসভার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতিই নাইজেরিয়া ফেরত যে তিনজন মহিলা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের সংস্পর্শে এই চারজন এসেছিলেন।