লালকেল্লায় হিংসা: জামিন পেলেন অভিনেতা দীপ সিধু, যেতে পারবেন না দেশের বাইরে

প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় যে হিংসা ছড়ায়, তাতে পুলিশের অভিযোগ ছিল, কৃষকদের উসকে ছিলেন অভিনেতা তথা আন্দোলনে অংশ নিতে আসা দীপ সিধুই।

লালকেল্লায় হিংসা: জামিন পেলেন অভিনেতা দীপ সিধু, যেতে পারবেন না দেশের বাইরে
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
Follow Us:
| Updated on: Apr 17, 2021 | 2:18 PM

নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় হিংসার ঘটনায় ধৃত অভিনেতা দীপ সিধু অবশেষে জামিন পেলেন। দিল্লি পুলিশের এফআইআরে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় তাঁকে এ দিন জামিন দেয় দিল্লি আদালত।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের মাঝেই ট্রাক্টর মিছিল বের করেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁদেরই একটি অংশ লালকেল্লায় গিয়ে ভাঙচুর চালায় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে। পুলিশের অভিযোগ, এই ঘটনায় কৃষকদের উসকে ছিলেন অভিনেতা তথা আন্দোলনে অংশ নিতে আসা দীপ সিধু। ঘটনার পর থেকেই তাঁর খোঁজ চালালেও কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হরিয়ানার কার্নাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তাঁর বিরুদ্ধে লাল কেল্লায় ভাঙচুরের উসকানি সহ একাধিক অভিযোগ আনা হলেও এ দিন দিল্লি আদালত মামলার শুনানিতে বলে, “ভারতীয় সংবিধানে প্রতিবাদের অধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও পুলিশের এফআইআরে সেই অধিকারের উপর কোনওভাবেই জোর দেওয়া হয়নি।” দুটি ব্যক্তিগত বন্ডে স্বাক্ষর করে ও গ্যারান্টি হিসাবে দুই বন্ডের ক্ষেত্রেই ৩০ হাজার টাকা জমা রেখে দীপ সিধুকে জামিন দেওয়া হয়। তবে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও তদন্তে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহেই এই মামলার শুনানিতে দীপ সিধুর তরফে হাজির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি(দীপ সিধু)-ই যে কৃষকদের লালকেল্লায় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার কোনও প্রমাণ নেই। এই আন্দোলনের ডাক সম্পূর্ণরূপে কৃষকদের। অভিযুক্ত কোনও কৃয়,ক সংগঠনের সদস্যও নন এবং তিনি লালকেল্লায় হামলা চালানোর ডাকও দেননি।

তাঁর আইনজীবী আরও জানান, ২৬ জানুয়ারির অশান্তির ঘটনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। বিশৃঙ্খলা শুরুর আগেই তিনি চলে এসেছিলেন এবং পুলিশকেও সাহায্য করছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যাঁরা হিংসায় জড়িত, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত। কেবল আন্দোলনে উপস্থিত থাকার প্রেক্ষিতে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না।

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা দিল্লিতে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে আন্দোলন চালাচ্ছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তাঁরা কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় ট্রাক্টর মিছিল বের করেন। সেখান থেকেই হিংসা ছড়ায়। ভাঙচুর করা হয় প্রাচীন লালকেল্লাও।

আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে রেলের বড় সিদ্ধান্ত, মাস্ক না পরলেই দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা