AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Karnataka: দলিত মহিলা জলপান করেছেন, গোমূত্র দিয়ে ‘পবিত্র’ করা হল ট্যাঙ্ক!

Karnataka: কর্নাটকের বিভিন্ন গ্রামে আজও দলিত-ব্রাহ্মণ জাতি-বৈষম্য বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। এবার হেগ্গোতারা গ্রাম তারই একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠল।

Karnataka: দলিত মহিলা জলপান করেছেন, গোমূত্র দিয়ে 'পবিত্র' করা হল ট্যাঙ্ক!
গোমূত্র দিয়ে 'পবিত্র' করা হল ট্যাঙ্ক!
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2022 | 8:00 AM
Share

বেঙ্গালুরু: যুগ বদলেছে। কিন্তু জাত-পাত নিয়ে বৈষম্য এখনও ঘোচেনি। এক দলিত মহিলা গ্রামের একটি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থেকে জলপান করেছেন। যার জন্য ট্যাঙ্কটির জল খালি করে সেটি পরিষ্কার করা হল। শুধু তাই নয়, গোমূত্র (Cow Urine) দিয়ে সেই ট্যাঙ্ক শুদ্ধ করা হয়। বর্তমান যুগে এমনই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে কর্নাটকের ছমরাজনগর জেলার হেগ্গোতারা গ্রামে।

কর্নাটকের বিভিন্ন গ্রামে আজও দলিত-ব্রাহ্মণ জাতি-বৈষম্য বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। এবার হেগ্গোতারা গ্রাম তারই একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠল। ছমরাজনগর জেলার হেগ্গোতারা গ্রামের প্রতিটি ট্যাঙ্কের গায়ে বড় বড় করে লেখা রয়েছে, এখান থেকে সকলে জলপান করতে পারেন। কিন্তু, আদতে যে সেটি মেনে চলা হয় না, তারই নজির মিলল দলিত মহিলা জলপান করায়।

জানা গিয়েছে, তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত ওই দলিত মহিলা গত ১৮ নভেম্বর হেগ্গোতারা গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই তিনি গ্রামের একটি পানীয় জলের ট্যাঙ্কের কল খুলে জল পান করেন। সেই ঘটনাটি গ্রামের উচ্চবর্ণের অনেকে দেখেছিলেন। তারপরই গ্রামের মোড়লরা রীতিমতো আলোচনা করে ট্যাঙ্কের জল বের করে সেটি পরিশুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। কেননা তাঁদের মতে, দলিত মহিলা ট্যাঙ্কের জলপান করায় সেটি অপবিত্র হয়ে গিয়েছে। তাই কেবল ট্যাঙ্কের জল ফেলেই তাঁরা ক্ষান্ত হননি, ট্যাঙ্কে গোমূত্র ঢেলে সেটি পবিত্র করা হয় বলেও অভিযোগ।

যদিও গ্রামের তহসিলদার আই.ই বসব্রজ বলেন,” ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে গোমূত্র দিয়ে সেটি পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা ঠিক জানা নেই।” তাঁর আরও দাবি, কোনও মহিলাকে ওই ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করতেও দেখা যায়নি। ওই মহিলার খোঁজ পাওয়া গেলে এবং সেরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের না হলেও এই ঘটনার পর বর্ণবৈষম্য রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। গ্রামের দলিত, তফশিলি ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত কয়েকজনকে জড়ো করে গ্রামের বিভিন্ন ট্যাঙ্কের জলপান করিয়েছেন। তবে এভাবে কী মানসিকতা বদলানো সম্ভব হবে? এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।