Amritpal Singh: হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ, ৩৬ দিন ঘোল খাইয়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ অমৃতপাল সিংয়ের
Khalistani Leader Surrenders: বেশ কয়েকবার হাতের নাগালে এলেও, শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বারংবার পালিয়ে গিয়েছে অমৃতপাল সিং। দিন কয়েক আগেই বিমানবন্দর থেকে তাঁর স্ত্রীকেও আটক করে পুলিশ। এরপরই মোগা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং।
চণ্ডীগঢ়: এক মাস ধরে পুলিশকে ঘোল খাইয়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন খালিস্তানি নেতা (Khalistani Leader) অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। সূত্রের খবর, পঞ্জাবের মোগা পুলিশের (Moga Police) কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অমৃতপাল সিং। গত ১৮ মার্চ থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করতে বিশাল অভিযান শুরু করেছিল পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police)। বেশ কয়েকবার হাতের নাগালে এলেও, শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বারংবার পালিয়ে গিয়েছে অমৃতপাল সিং। দিন কয়েক আগেই বিমানবন্দর থেকে তাঁর স্ত্রীকেও আটক করে পুলিশ। এরপরই মোগা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং।
গত ১৮ মার্চ পঞ্জাব পুলিশ খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং ও তাঁর সংগঠন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করতে গেলে, বাইকে চেপে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই অমৃতপালের খোঁজে বিশাল অভিযান শুরু করে পঞ্জাব পুলিশ। চার জেলার পুলিশের দল রাজ্যজুড়ে ও আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলিতে তল্লাশি চালায়, কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি অমৃতপালের। দিন কয়েক পরে কখনও দিল্লিতে, কখনও হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে দেখা যায় অমৃতপাল সিং ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপলপ্রীতকে। কিন্তু তাদের কিছুতেই নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ২৯ মার্চ অমৃতপাল নিজেই একচি ভিডিয়োও পোস্ট করেন এবং জানান তিনি সুরক্ষিত রয়েছেন। কিছুতেই পুলিশের হাতে ধরা দেবেন না।
চলতি সপ্তাহেই অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে পুলিশ আটক করে অমৃতপালের স্ত্রী কীরণদীপ কৌরকে। জানা গিয়েছিল, লন্ডন পালিয়ে যাচ্ছিলেন খালিস্তানি নেতার স্ত্রী। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানে ওঠার আগেই পুলিশ তাঁকে আটক করে। বর্তমানে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে।
স্ত্রীর আটক হওয়ার তিনদিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন অমৃতপাল সিং। আজ ভোরেই তিনি পঞ্জাবের মোগা জেলার একটি গুরুদ্বারে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই খালিস্তানি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে অসমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অমৃতপালের বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশের উপরে হামলা সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।