পটনা: বিতর্ক-সমালোচনার মাঝেই জেল থেকে মুক্তি পেলেন বিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা আইএএস অফিসার খুনের মামলায় অভিযুক্ত আনন্দ মোহন। ১৯৯৪ সালে আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়ার গণপিটুনিতে হত্যার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন সাংসদ আনন্দ মোহন। তাঁকে প্রথমে মৃত্য়ুদণ্ড ও পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতিই বিহারের নীতীশ কুমার সরকার কারা বিধিতে পরিবর্তন আনে, যার জেরে আনন্দ মোহন সহ ২৭ জন বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন আইএএস সংগঠন থেকে শুরু করে নিহত আইএএস পরিবারের সদস্য় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। হাজারো বিতর্কের মাঝে আজ জেল থেকে মুক্তি পেলেন আনন্দ মোহন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আনন্দ মোহন সম্প্রতিই প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন ছেলের বাগদানের অনুষ্ঠানের জন্য। গত ২৪ এপ্রিল ছেলের বাগদানের অনুষ্ঠানের দিনই আনন্দ মোহন জানতে পারেন যে ৩০ বছর পুরনো মামলায় তিনি জেল থেকে পাকাপাকি মুক্তি পাচ্ছেন।
চলতি মাসের শুরুতেই, গত ১০ এপ্রিল বিহার সরকার কারাগারবিধি পরিবর্তন করে। এর জেরেই বিহারের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন নিয়মে যে ২৭ জন বন্দি মুক্তি পাচ্ছেন, তাদের মধ্যেই অন্যতম হলেন প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিং।
তবে আনন্দ মোহনের মুক্তির ঘোষণার পর থেকেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত বিধায়কের মুক্তির ঘোষণার পরই নিহত আইএএস অফিসারের পরিবারের তরফে বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং মোদী সরকারের কাছে আনন্দ মোহনের সাজা যাতে মাফ না করা হয়, তার আর্জি জানান। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস অফিসাররাও নীতীশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। গতকালই সেন্ট্রাল আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে টুইট করে বলা হয়, “বিহার সরকার প্রয়াত আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল আইএএস অ্যাসোসিয়েশন তীব্র বিরোধিতা করছে।”