আন্দামান: বলিউডের সেলেব্রিটিদের ছুটি মানেই মলদ্বীপ। বিকিনি বা মনোকিনি পরে নীল সমুদ্রে গা ভাসানো- এমন দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত ভারতীয়রা। তবে এমন স্বচ্ছ সমুদ্র, পরিচ্ছন্ন সৈকত দেখতে গেলে যে শুধুই বিদেশে যেতে হবে, এ কথা ঠিক নয়। ভারতে এমন কিছু সৈকত রয়েছে, যা দেখলে চোখ ফেরানো ভার। লাক্ষাদ্বীপও যেতে হবে না, কলকাতার আরও কাছেই রয়েছে এমন পর্যটনস্থল। মাত্র ২ থেকে আড়াই ঘণ্টার পথ বিমানে পেরলেই দেখলে পাবেন সৌন্দর্যের সেই খনি। আন্দামান-নিকোবরের প্রতি আকর্ষণ বরাবরই বেশি। তবে এবার এমন কিছু সংযোজন করছে সেখানকার প্রশাসন, যাতে আকর্ষণ বাড়বে আরও। শুধুমাত্র দিনেই উপভোগ করবেন না, রাতের সমুদ্রেও ভরপুর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
আন্দামান -নিকোবরের মুখ্যসচিব কেশব চন্দ্র জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের এমন এক সুন্দর দিক সেখানে দেখা যায়, যা না দেখলে বিশ্বাস করা মুস্কিল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো আছেই, সেই সঙ্গে ওয়াটার স্পোর্টস-এর সু ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, আরও বেশি পর্যটন আনার ব্যবস্থা করছে আন্দামানের প্রশাসন।
কেশব চন্দ্র জানিয়েছেন, পোর্ট ব্লেয়ারে পাঁচতারা রিসর্ট মেগাপড-এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে প্রশাসন। পিপিপি মডেলে পুরোটা দেখা হচ্ছে। এছাড়া হ্যাভলক আইল্যান্ড তথা বর্তমান স্বরাজ দ্বীপের রাধানগর বিচ-কেও আরও বিলাসবহুল করে তোলা হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, নতুন করে আন্দামানে যাওয়ার বিমান পরিষেবা চালু করছে একাধিক বিমান সংস্থা। ফলে টিকিটের দামও কমবে বলে মনে করছেন মুখ্যসচিব। বিদেশ পর্যটকরা যাতে সহজে আসতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মলদ্বীপের মতো সি প্লেনও চালু হচ্ছে। থাকবে বিলাসবহুল টেন্ট।
এছাড়া রাতের সৈকত যাতে আরও আকর্ষণীয় করা যায়, সে কথাও ভেবেছে প্রশাসন। রাতের সমুদ্রে কায়াকিং করা যাবে, রাখা হবে হাউসবোটও। খুব শীঘ্রই আন্দামান এভাবেই সেজে উঠবে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার পর মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী অবমাননাকর মন্তব্য করেন। তারপর থেকেই ভারতীয় মলদ্বীপ বয়কট করার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। লাক্ষাদ্বীপকেই বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামানও হয়ে উঠতে পারে বিকল্প।