AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amit Shah on Repealing Farm law: ‘অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্বের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’, কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে মোদীর প্রশংসায় অমিত শাহ

Amit Shah: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উৎপাদিত কৃষিপণ্যে ব্যবসায়িক দিক, অত্যাবশ্যক পণ্য ও কৃষিজাত পণ্য মূল্য সংক্রান্ত তিনটি আইন পাশ করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার। সংসদে এই আইনগুলি পাশের পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কৃষকরা।

Amit Shah on Repealing Farm law: 'অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্বের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী', কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে মোদীর প্রশংসায় অমিত শাহ
ছবি: গ্রাফিক্স অভিজিৎ বিশ্বাস
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 1:44 PM
Share

নয়া দিল্লি: আজ সকাল ৯ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বক্তৃতায় খানিক আকস্মিকভাবেই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত যে বিরোধীদের প্রচারে অন্যতম বড় হাতিয়ার হতে পারে, সেই সম্ভাবনা থাকার পরেও কৃষক স্বার্থের কথা ভেবে ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ নিতে পিছপা হননি প্রধানমন্ত্রী। মোদীর এই সিদ্ধান্তের মধ্যেই এক ‘যোগ্য রাষ্ট্রনায়ককে’ খুঁজে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কৃষি আইন (Farmers’ Law) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী ক্যাবিনেটের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

টুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “কৃষি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। নিজের বক্তৃতাতেই প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় কৃষকদের পক্ষে এবং কৃষক স্বার্থ রক্ষার তাগিদে সবরকমের সাহায্য করতে সরকার প্রস্তুত।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই টুইট থেকেই স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁর।

এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডলে ভেসে ওঠে আরও একটি টুইট। সেখানে অমিত শাহ লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার জন্য গুরু পরবের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বেছে নিয়েছেন। এখানেই তাঁর চিন্তাভাবনার অভিনবত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এই সিদ্ধান্তে থেকেই বোঝা যায় প্রত্যেক ভারতীয়র কল্যাণের কথা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনও কিছু চিন্তা করেন না। তিনি এক যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নজির স্থাপন করেছেন।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উৎপাদিত কৃষিপণ্যে ব্যবসায়িক দিক, অত্যাবশ্যক পণ্য ও কৃষিজাত পণ্য মূল্য সংক্রান্ত তিনটি আইন পাশ করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার। সংসদে এই আইনগুলি পাশের পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কৃষকরা। সরকাররে দাবি ছিল কৃষকদের কথা ভেবেই এই আইন আনা হয়েছে, অন্যদিকে কৃষকদের যুক্তি ছিল এই আইনের জন্য প্রান্তিক ও ছোট কৃষকরা সমস্যার মুখোমুখি হবেন। বিজেপি বিরোধী দল গুলিও এই আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার সোচ্চার হতে থাকে। তারপরেই এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। সারদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রেল অবরোধ, ভারত বনধ, দিল্লি অভিযান সহ নানা কর্মসূচি নিয়েছিলেন কৃষকরা। পঞ্জাব, হরিয়ানার মত হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য ছাড়া কৃষক আন্দোলনের প্রভাব অন্য কোনও রাজ্যে সেভাবে প্রভাব ফেলতে দেখা পারেনি।

সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কৃষকদের আলোচনা হলেও কোনও ইতিবাচক সমাধন সূত্র বের হয়নি। কৃষি আইন নিয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই তিন আইন বলবৎ করায় স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর একাধিক ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে কৃষকদের আন্দোলন। বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রচার করার হুমকিও দিয়েছিলেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাকেশ টিকায়েত। এরপরে মোদীর এই কৃষক আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর বিরোধীদের রাজনৈতিক অস্ত্র ভোঁতা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন সংসদে সিদ্ধান্ত না হওয়া অবধি পিছু হঠতে রাজি নয় কিষাণ মোর্চা