Viral: প্রসব যন্ত্রণায় প্রাণ যাওয়ার অবস্থা, পকেট ছুরি আর চুলের ক্লিপ নিয়ে হাজির হলেন ‘দেবদূত’, স্টেশনে তারপর যা হল…
Viral: স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন ঝাঁসি মিলিটারি হাসপাতালের চিকিৎসক, মেজর রোহিত বাচওয়ালা। ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতেই তিনি হঠাৎ ওই মহিলার চিৎকার শোনেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে যান। দেখেন যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো সময় নেই ওই মহিলার হাতে।

ঝাঁসি: স্টেশনে বসেছিলেন ট্রেনের অপেক্ষায়। হঠাৎ নজরে পড়ল সামনে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। উঠে গিয়ে দেখতে যান, কী হচ্ছে। দেখেন, ট্রেন থেকে নামানো হচ্ছে এক গর্ভবতী মহিলাকে। প্রসব যন্ত্রণা উঠেছে তাঁর। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তাঁকে। কিন্তু হাতে সেই সময়টুকুও নেই। তারপরে যা যা ঘটনা ঘটল, তাতে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন স্টেশনে থাকা যাত্রী থেকে আরপিএফ-সকলে।
একটা পকেট ছুরি, চুলের ক্লিপ ও ধুতি, মাত্র এই তিনটি জিনিস দিয়েই স্টেশনের মধ্যেই এক মহিলার সন্তান প্রসব করানো হল। আর এই সবটাই সম্ভব হল স্টেশনে ওই মুহূর্তে উপস্থিত সেনাবাহিনীর এক চিকিৎসকের উপস্থিত বুদ্ধি ও দক্ষতায়।
শনিবার দুপুরে বীরঙ্গনা লক্ষ্মীবাই ঝাঁসি স্টেশনে এক মহিলা সন্তান প্রসব করেন। তিনি স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে পানভেল থেকে বারাবানকি যাচ্ছিলেন। ট্রেনের মধ্যেই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। স্বামী সঙ্গে সঙ্গে রেল মদত অ্যাপের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানান। ঝাঁসি স্টেশনে তাঁদের নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কিন্তু প্রসব যন্ত্রণায় আর পারছিলেন না তিনি।
ওই সময়ই স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন ঝাঁসি মিলিটারি হাসপাতালের চিকিৎসক, মেজর রোহিত বাচওয়ালা। তিনি ছুটি নিয়ে এক মাসের জন্য নিজের বাড়ি হায়দরাবাদে যাচ্ছিলেন। ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতেই তিনি হঠাৎ ওই মহিলার চিৎকার শোনেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে যান। দেখেন যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো সময় নেই ওই মহিলার হাতে।
দ্রুত মহিলা রেলকর্মীদের চারিদিকে পর্দা দিতে বলেন। জোগাড় করে এনে দেওয়া হয় গ্লাভসও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পকেট ছুরি ও হেয়ার ক্লিপ ব্যবহার করে ওই মহিলার প্রসব করান। প্রসবের পর মা ও কন্যা সন্তান দুজনেই স্থিতিশীল ছিলেন। এরপর রেল কর্তৃপক্ষের তরফে অ্য়াম্বুল্যান্স করে ওই মহিলা ও নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকলে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসককে।
সেনাবাহিনীর ওই চিকিৎসক বলেন, “একজন মহিলা টিটিই ওই গর্ভবতী মহিলাকে হুইলচেয়ারে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফুটব্রিজের উপর থেকে ওঁর চিৎকার শুনতে পেয়েই আমি ছুটে যাই। আমার কাছে যা কিছু ছিল, তাই দিয়েই ওঁর প্রসব করাই।”
ফুটফুটে মেয়েকে কোলে নিয়ে নতুন বাবা মহম্মদ জুবেইর কুরেশি, মেজর রোহিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি ওই সেনা চিকিৎসক ও রেলওয়ে স্টাফদের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব, যারা আমাদের সাহায্য করেছিলেন। যে টিটিই সাহায্য করেছিলেন, তিনি বিকেলে ফল, খাবার নিয়ে দেখাও করতে এসেছিলেন।”





