Nitish Kumar on Budget 2025: ঢেলে উপহার বিহারকে, নীতীশের মন জিততে পারলেন নির্মলা?
Bihar Allocation in Budget: বাজেটে আয়করের ছাড় নিয়েও অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, "মধ্যবিত্তরা অনেকটা স্বস্তি পেল...কিসান ক্রেডিট কার্ডে ঋণের সীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করায় কৃষকরাও উপকৃত হবেন।"

নয়া দিল্লি: পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। আয়করে ১২ লক্ষ টাকা ছাড় থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজে আসন বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি- একাধিক ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেটে ভরে ভরে উপহার পেয়েছে একটা রাজ্য-বিহার। নতুন বিমানবন্দর থেকে মাখানা শিল্পে বিপুল বরাদ্দ, জোটসঙ্গীকে হাত খুলে উপহার দিয়েছে মোদী সরকার। তাতে কি খুশি নীতীশ কুমার(Nitish Kumar)? নাকি তাঁর প্রত্যাশা আরও কিছু ছিল?
১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, এই বাজেট ইতিবাচক ও উন্নয়নশীল। আর বিহারের জন্য বিশেষ ঘোষণা নিয়ে? হাসিমুখেই নীতীশ কুমার বলেন, “দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিহারের উন্নয়নের গতিও বাড়াবে এই ঘোষণা।”
বাজেটে আয়করের ছাড় নিয়েও অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, “মধ্যবিত্তরা অনেকটা স্বস্তি পেল…কিসান ক্রেডিট কার্ডে ঋণের সীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করায় কৃষকরাও উপকৃত হবেন। মাইক্রো এন্টারপ্রাইজে ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে, এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে।”
केन्द्रीय बजट सकारात्मक एवं स्वागत योग्य है। केन्द्र सरकार का यह बजट प्रगतिशील एवं भविष्योन्मुखी है। इस बजट के माध्यम से केन्द्र सरकार द्वारा देश के विकास की गति को और बढ़ाने के लिए कई कदम उठाए गए हैं। बजट में बिहार के लिए जो घोषणाएं की गई हैं, उनसे बिहार के विकास को और गति…
— Nitish Kumar (@NitishKumar) February 1, 2025
তিনি আরও লেখেন, “গরিব, যুব ও কৃষকদের কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিহারে মাখানা বোর্ড গঠন করার ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট তৈরির ঘোষণাও করেছেন। চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, বিহারে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করতে এবং শরিক জেডিইউ (নীতীশ কুমারের দল)-কে খুশি রাখতেই একগুচ্ছ ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।
এনডিএ জোটে গুরুত্বপূর্ণ দুই শরিক বিহারের জেডিইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের টিডিপি। এই দুই দলের সমর্থন ছাড়া এনডিএ-র সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। বিহার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেই রাজ্যের জন্য একাধিক ঘোষণা করা হলেও, হাত ফাঁকা আরেক শরিক অন্ধ্র প্রদেশের। এবার বাজেটের পর চন্দ্রবাবুর কী প্রতিক্রিয়া হয়, তাই-ই এখন দেখার।