Bihar: বরেরা পারছে না, মহিলাদের গর্ভবতী করলেই নাকি আয় লক্ষ-লক্ষ টাকা!

Bihar police: প্রথমে ৭৯৯ টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হত আগ্রহী প্রার্থীদের। পরের ধাপে, অভিযুক্তরা প্রার্থীদের কিছু মহিলাদের ছবি পাঠাত। বলা হত, এই মহিলারা মা হতে চান। কিন্তু তাঁদের স্বামীর সঙ্গে যৌনতায় তাঁরা গর্ভধারণ করতে পারছেন না। পুরুষদের বলা হত, যে মহিলার সঙ্গে সঙ্গম করে তাঁকে গর্ভবতী করতে চান, তাঁকে বেছে নিতে।

Bihar: বরেরা পারছে না, মহিলাদের গর্ভবতী করলেই নাকি আয় লক্ষ-লক্ষ টাকা!
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2024 | 9:28 PM

পটনা: সঙ্গীদের সঙ্গে যৌনতায় গর্ভধারণ করতে পারছেন না যে সকল মহিলারা, তাঁদের গর্ভবতী করতে হবে। আর তার বিনিময়ে পাওয়া যাবে লক্ষ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, কোন মহিলাকে গর্ভবতী করতে চান, তাও ছবি দেখে বেছে নেওয়া যাবে! এই চাকরির একটা গালভরা নামও আছে, ‘অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব সার্ভিস’। এই ‘আকর্ষণীয়’ চাকরির টোপ দিয়েই বহু পুরুষকে প্রতারণার জালে ফেলেছিল এক প্রতারক চক্র। নতুন বছরের শুরুতেই অবশ্য ধরা পড়ে গেল তাদের কারসাজি। সোমবার (১ জানুয়ারি), বিহারের নওয়াদা জেলা থেকে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই চাকরির বিজ্ঞাপন দিত। আগ্রহী পুরুষদের সঙ্গে তারা নিজেরাই যোগাযোগ করত। তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনের লোভ দেখানো হত। তবে, এই চাকরির জন্য প্রথমে ৭৯৯ টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হত আগ্রহী প্রার্থীদের। এই রেজিস্ট্রেশন ফি ছিল জালিয়াতির প্রথম ধাপ। পরের ধাপে, অভিযুক্তরা প্রার্থীদের কিছু মহিলাদের ছবি পাঠাত। বলা হত, এই মহিলারা মা হতে চান। কিন্তু তাঁদের স্বামীর সঙ্গে যৌনতায় তাঁরা গর্ভধারণ করতে পারছেন না। পুরুষদের বলা হত, যে মহিলার সঙ্গে সঙ্গম করে তাঁকে গর্ভবতী করতে চান, তাঁকে বেছে নিতে।

এরপর শুরু হত জালিয়াতির দ্বিতীয় ধাপ। নেওয়া হত সিকিওরিটি ফি বা নিরাপত্তার মূল্য। বেছে নেওয়া মহিলা কতটা ‘আকর্ষণীয়’, তার উপর নির্ভর করত সিকিওরিটি ফি-এর পরিমাণ। এই বাবদ ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হত। নওয়াদার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কল্যাণ আনন্দ জানিয়েছেন, পুরুষ প্রার্থীদের চক্রের সদস্যরা বলত, সংশ্লিষ্ট মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে, তাদের ১৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। মহিলা গর্ভধারণ না করলেও টাকা পাওয়া যাবে। সেই ক্ষেত্রে সান্ত্বনা মূল্য হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।”

এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর, তদন্ত শুরু করেছিল বিহার পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। প্রথমেই তাদের হাতে আসে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড মুন্না কুমার। তাকে নিয়েই বিহারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারণা চক্রের আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন পালিয়েছে মূল অভিযুক্ত। কল্যাণ আনন্দ জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া আটজন এক বৃহত্তর সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। এই চক্র ভারত জুড়ে চলে। তল্লাশি অভিযানে নয়টি স্মার্টফোন এবং একটি প্রিন্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।