AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কৃষক আন্দোলনের চাপে গদি ‘সংকটে’ বিজেপি সরকার, আস্থাভোট হতে পারে আজ

কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) নিয়ে প্রবল চাপের মুখে হরিয়ানা(Haryana)-র বিজেপি (BJP) সরকার। সম্প্রতি দুই নির্দল বিধায়ক শাসক জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতেই অনাস্থা প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস(Congress)। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আজ বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

কৃষক আন্দোলনের চাপে গদি 'সংকটে' বিজেপি সরকার, আস্থাভোট হতে পারে আজ
মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের চোখে জল। ফাইল চিত্র।
| Updated on: Mar 10, 2021 | 11:20 AM
Share

হরিয়ানা: কৃষি আইন নিয়ে এবার হরিয়ানা বিধানসভায় বিপাকে পড়ল বিজেপি(BJP) সরকার। কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পরই বিভিন্ন রাজ্যে চাপে পড়েছিল বিজেপি সরকার। পঞ্জাবে জোটসঙ্গী শিরোমণি আকালি দলের সমর্থনও খোয়াতে হয়েছিল। এবার হরিয়ানাতেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন কেন্দ্রের শাসক দল। দুই নির্দল বিধায়ক (Independent MLAs) নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করায় বুধবার আস্থা ভোটের মুখে পড়তে চলেছে মনোহর লাল খট্টর(Manohar lal Khattar)-র সরকার।

হরিয়ানা বিধানসভায় ৯০টি আসনের মধ্যে ৪০টি আসনই বিজেপির দখলে রয়েছে। এছাড়াও ১০ জন জননায়ক জনতা পার্টি(Jannayak Janata Party)-র বিধায়ক ও ৫ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে বিজেপির কাছে। অন্যদিকে কংগ্রেস(Congress)-র দখলে রয়েছে ৩১টি আসন। দুটি আসন ফাঁকা থাকায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা ৪৫।

কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই হরিয়ানার কৃষকরা জানিয়েছিলেন, যে দলগুলি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে থাকবে, তাঁদের বয়কট করা হবে। ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়ার ভয়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের সদস্য অভয় সিং চৌটলা(Abhay Singh Chautala)-ও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বাবা ওম তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ চৌটলা(Om Prakash Chautala)-ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র কাছে চিঠি লিখে আইন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: করোনা টিকার দু’টি ডোজ় নিয়েও আক্রান্ত ৩ ইঞ্জিনিয়ার

সম্প্রতি দুই নির্দল বিধায়ক শাসক দলের জোট থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নেওয়ায় বিপাকে পড়ে বিজেপি। এখনও জোটে রয়েছেন, এমন কয়েকজন বিধায়কের মতেও এটি সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। এরপরই কংগ্রেসের তরফে অনাস্থা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা (Bhupinder Singh Hooda) বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমেই জানা যাবে মনোহর লাল খট্টর সরকারের সপক্ষে কোন কোন বিধায়করা রয়েছেন। বহু বিধায়কই সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। জোটসঙ্গীরা কৃষকদের সমর্থনও হারাচ্ছেন।”

তবে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের দাবি, সরকার মোটেও বিপদে পড়েনি। বিধানসভায় আস্থা ভোট হলেও সেখানে বিজেপি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে সক্ষম হবে বলেই জানান তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত সিং চৌটলাও এর আগে জানিয়েছিলেন, কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (Minimum Support Price) গ্যারান্টি যদি তিনি দিতে না পারেন তবে স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগ করবেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেও জানিয়েছিলেন, হরিয়ানায় বিজেপি সরকার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।

আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় বিরোধীদের দিকে ক্যামেরা থাকে না’, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অধীরের