Viral Video of Uma Bharti: দোকান লক্ষ্য করে একের পর এক ঢিল, মদের গঙ্গায় দাঁড়িয়েই ‘দাবাং’ রূপ বিজেপি নেত্রীর!
Viral Video of Uma Bharti: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই ভাঙচুর চালিয়েই তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যেন ওই মদের দেকান বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেই দাবিই জানিয়েছেন তিনি।
ভোপাল: একের পর এক ঢিল পড়ছে দোকানে। বোতল ভেঙে যাওয়ায় মদে (Liquor) ভেসে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। এতকিছুর পরও দোকানের ভিতরেই হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন দোকানের কর্মচারীরা। বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছেন, কারণ সামনেই রণমূর্তি ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী। রবিবার মধ্য প্রদেশের ভোপালে (Bhopal) একটি মদের দোকানে চড়াও হন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী (Uma Bharti)। দোকান লক্ষ্য করে তিনি ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। সাতদিনের মধ্যে ওই দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ওই মদের দোকানের কারণেই স্থানীয় মহিলারা নানা সমস্যায় পড়ছেন। সেই কারণেই তিনি দোকান বন্ধ করার কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে মদের দোকানের বাইরে তাঁর রণংদেহী মূর্তি ও ভাঙচুরের ভিডিয়ো।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই ভাঙচুর চালিয়েই তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যেন ওই মদের দেকান বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেই দাবিই জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত ছয় মাস ধরেই তিনি রাজ্যে মদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানাচ্ছেন। যদি তাঁর দাবি মানা না হয়, তবে তিনি শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রবিবার মদের দোকানের উপরে হামলা একাধিক পদক্ষেপের কেবল প্রথম ধাপ বলেই জানিয়েছেন তিনি।
1) बरखेड़ा पठानी आझाद नगर, बीएचईएल भोपाल , यहाँ मज़दूरों की बस्ती में शराब की दुकानों की शृंखला हैं जो की एक बड़े आहाता में लोगों को शराब परोसते हैं । pic.twitter.com/dNAXrh1jRY
— Uma Bharti (@umasribharti) March 13, 2022
ভোপালের পুলিশ কমিশনার মকরন্দ দেউস্কর জানান, তাদের কাছে ভোপালে একটি মদের দোকান ভাঙচুরের খবর এলেও, এখনও অবধি উমা ভারতীর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে উমা ভারতী নিজেই টুইটারে দোকান ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এহেন পদক্ষেপের কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। টুইটে তিনি বলেন, “ওই মদের দোকানের কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। মদ্যপ ব্যক্তিরা স্থানীয় মহিলাদের হেনস্থা করছেন। একাধিক মহিলার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই আমি আজ ঘটনাস্থলে যাই। ওই অঞ্চলে বস্তিও রয়েছে। গরিব শ্রমিকেরা নিজেদের সামান্য উপার্জনটুকুও মদের উপরেই খরচ করে ফেলছে। এবার স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হল।”