সাপুরজি এনকাউন্টারে তীব্র জঙ্গি যোগ, এনআইএ তদন্তের দাবিতে শাহকে চিঠি সৌমিত্রর
যেহেতু কুখ্যাত দুষ্কৃতীর শ্যুটআউটে ক্রমশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যোগ তীব্র হচ্ছে, সেই কারণে এই দাবি তিনি তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা: নিউটাউন এনকাউন্টার নিয়ে পরতে পরতে উঠে আছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ বার গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হস্তক্ষেপ দাবি জানালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি দিয়ে এইএনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। বর্তমানে দিল্লিতেই রয়েছেন সৌমিত্র। রাজধানীতে থাকাকালীন অমিত শাহ এবং এনাআইএ-কে এই সম্পর্কিত একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেহেতু কুখ্যাত দুষ্কৃতীর শ্যুটআউটে ক্রমশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যোগ তীব্র হচ্ছে, সেই কারণে এই দাবি তিনি তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পঞ্জাব পুলিশের নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ খতম করেছে মোস্ট ওয়ান্টেড দুই দুষ্কৃতীকে। কিন্তু এই ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলে দিয়ে সর্বভারতীয় মহলে। নিজের চিঠিতে এ দিন সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন, যে ফ্ল্যাটে ওই দুই দুষ্কৃতী গা ঢাকা দিয়েছিল, তার মালিক বাংলাদেশি। যদিও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের মালিক বিহারের বাসিন্দা। কিন্তু যেভাবে সৌমিত্র এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, তাতে নিউটাউন এনকাউন্টারে জঙ্গি যোগ রয়েকে কি না সেই প্রশ্ন উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ এনআইএ শুধুমাত্র জঙ্গি এবং নাশকতার ঘটনার তদন্ত করে থাকে। সৌমিত্রর দাবি, গোটা ঘটনার অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। তা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এ দিন সৌমিত্র বলেন, “বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় সমস্ত থানায় কিন্তু নথিপত্র জমা দিতে হয়। সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানতে পারছি, ওখানে ৪ মাস ধরে ভাড়া থাকছে। তাহলে থানাগুলো কী করল! বাড়ির আসল মালিক নাকি বাংলাদেশের। তাঁর নামটাও প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে একটা আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে। বাংলায় প্রতিদিন এত বোমা আসছে কোথা থেকে? সেটার জন্যই আমি এনআইএ এবং অমিত শাহজিকে চিঠি দিচ্ছি। রাজ্যে যেখানে যেখানে বোমাবাজি হচ্ছে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই যেন এনআইএ তদন্ত করা হয়।”
আরও পড়ুন: চুক্তিপত্রের কোথাও নামই নেই ভুল্লারদের! সাপুরজির সেই ফ্ল্যাটের আসল মালিকানা নিয়েই গহীন রহস্য