Sukhbir Singh Badal: স্বর্ণমন্দির চত্বরে সুখবীর সিং বাদলের উপরে হামলা, চলল গুলি, হইচই-আতঙ্ক চারিদিকে
Gun Firing: বিগত কয়েক দিন ধরেই ধর্মীয় শাস্তি হিসাবে স্বর্ণ মন্দিরের গেটে রক্ষী হিসাবে কাজ করছিলেন সুখবীর সিং বাদল। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। অকালি দলের সমর্থকরা সঙ্গে সঙ্গেই আততায়ীকে ধরে ফেলে। ধৃতের নাম নারায়ণ সিং চৌরা।
অমৃতসর: ভয়ঙ্কর কাণ্ড পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে। চলল গুলি। তাও আবার শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গিয়েছিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল। গেটে ঢোকার মুখেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। সূত্রের খবর, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন অকালি দলের প্রধান। গ্রেফতার করা হয়েছে আততায়ীকে।
সূত্রের খবর, বিগত কয়েক দিন ধরেই ধর্মীয় শাস্তি হিসাবে স্বর্ণ মন্দিরের গেটে রক্ষী হিসাবে কাজ করছিলেন সুখবীর সিং বাদল। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নীল সেবাইতের ইউনিফর্ম পরা সুখবীর সিং বাদলের দিকে বন্দুক উচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন। মাথা নিচু করে প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করছেন বাদল।
#WATCH | Punjab: Bullets fired at Golden Temple premises in Amritsar where SAD leaders, including party chief Sukhbir Singh Badal, are offering ‘seva’ under the religious punishments pronounced for them by Sri Akal Takht Sahib, on 2nd December.
Details awaited. pic.twitter.com/CFQaoiqLkx
— ANI (@ANI) December 4, 2024
অকালি দলের সমর্থকরা সঙ্গে সঙ্গেই আততায়ীকে ধরে ফেলে। ধৃতের নাম নারায়ণ সিং চৌরা। গুরুদাসপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। হামলার কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, নারায়ণ সিং খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী বব্বর খালসার সঙ্গে যুক্ত। ২০০৪ সালে বুরাইল জেল ভেঙে চার বন্দিরা ৯৪ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি যোগ ছিল নারায়ণের।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পঞ্জাবে অকালি দলের শাসনকালে দলের নেতারা যে ‘ভুল’ করেছিল, তার শাস্তি হিসাবেই ‘তানখা’র নির্দেশ দিয়েছে অকাল তখত। এই অপরাধের মধ্যে অন্যতম ছিল ডেরা সাচ্চার প্রধান গুরমীত রাম রহিম সিংকে মুক্তি দেওয়া। সুখবীর সিং বাদল নিজেই অকাল তখতের কাছে এই অপরাধ স্বীকার করেছিলেন। সাজা হিসাবেই বিভিন্ন গুরুদ্বারে সেবা করছেন সুখবীর সিং বাদল। স্বর্ণমন্দির সহ বিভিন্ন গুরুদ্বারে তিনি বাসন মাজা, জুতো পরিষ্কারের সেবা করছিলেন।
এ দিনও পায়ে প্লাস্টার নিয়েই স্বর্ণমন্দিরের গেটে সেবা করছিলেন সুখবীর সিং বাদল। সেই সময়ই আততায়ী এসে বন্দুক বার করে এবং বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। সাদ নেতার পাশে দাঁড়ানো এক সমর্থক আততায়ীর হাত চেপে ধরে। গা ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়।