AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পরীক্ষা বাতিলের আর্জি দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের, কী সিদ্ধান্ত নিল সিবিএসই?

পড়ুয়াদের তরফে তৈরি পিটিশনে বলা হয়েছে, "প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যখন দেশে অল্প সংখ্যক আক্রান্ত ছিল, তখন বাকি থাকা পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিকে এখন দেশে সর্বাধিক সংক্রমণ হচ্ছে, তখন স্কুল খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।"

পরীক্ষা বাতিলের আর্জি দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের, কী সিদ্ধান্ত নিল সিবিএসই?
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Apr 08, 2021 | 2:40 PM
Share

নয়া দিল্লি: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ, এই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুকি নিয়ে পরীক্ষা দিতে নারাজ সিবিএসই(CBSE)-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই এক লাখের উপর পডুয়া সরকারের কাছে অনলাইনে পরীক্ষা বা সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানিয়েছে। তাঁদের দাবি, এই সংক্রমণের মাঝে পরীক্ষা দেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

আগামী মে মাসে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ার কথা। তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পড়ুয়ারা পরীক্ষা বাতিল বা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে। বিগত দুই দিন ধরেই টুইটারে ট্রেন্ডিং-এ রয়েছে হ্যাশট্যাগ ক্যানসেল বোর্ড এক্সাম ২০২১(#CancelBoardExam2021)।

এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিবিএসই(CBSE) বোর্ড ও সিআইএসসিই(CISCE)-র তরফে জানানো হয় যে, করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিবিএসই-র এক আধিকারিক বলেন, “পড়ুয়ারা যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই জন্য যাবতীয় কোভিড বিধি অনুসরণ করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।” একইভাবে সিআইএসসিই-র সচিব জেরি অ্যারাথুন জানান, পরীক্ষা বাতিলের কোনও পরিকল্পনা নেই। নির্দিষ্ট দিনেই পরীক্ষা হবে।

আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন আউট অব স্টক’! সেশন সেন্টারে মিলছে না টিকা, চরম ভোগান্তি

অন্যদিকে, পড়ুয়াদের তরফে একটি পিটিশন তৈরি করা হয়েছে। সেই পিটিশনে বলা হয়েছে, “প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যখন দেশে অল্প সংখ্যক আক্রান্ত ছিল, তখন বাকি থাকা পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিকে এখন দেশে সর্বাধিক সংক্রমণ হচ্ছে, তখন স্কুল খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে ও দশম-দ্বাদশ শ্রেণির বাতিল করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

সাধারণত জানুয়ারি মাসে প্রক্টিকাল পরীক্ষা ও ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে মার্চ মাসে শেষ হয়ে যেত। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে মে-জুন মাসে হওয়ার কথা। একইসঙ্গে, গত সপ্তাহেই বোর্ডের তরফে জানানো হয়, যদি কোনও পডুয়া বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়, তবে পরে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে সোমবার অবধি লকডাউন মধ্য প্রদেশের শহরাঞ্চলে