করোনা নিয়ন্ত্রণে সোমবার অবধি লকডাউন মধ্য প্রদেশের শহরাঞ্চলে

আগামী তিনদিন মধ্য প্রদেশের শহরাঞ্চল গুলিতে লকডাউন জারি থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা অর্থাৎ যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সোমবার অবধি লকডাউন মধ্য প্রদেশের শহরাঞ্চলে
রবিবার ভোপালে লকডাউন চলাকালীন চিত্র। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 08, 2021 | 1:43 PM

ভোপাল: রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। নৈশ কার্ফু (Night Curfew) জারি করেও পরিস্থিতিতে খুব একটা উন্নতি হয়নি। এ বার তাই লকডাউনের পথেই হাটল মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকার। আগামিকাল সন্ধে ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা অবধি লকডাউন (Lockdown) জারি থাকবে মধ্য প্রদেশের সমস্ত শহরাঞ্চলে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকের পরই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় মধ্য প্রদেশে চার হাজারেরও বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বৈঠকের পরই যে শহরগুলিতে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত বড় শহরগুলিতে কন্টেনমেন্ট জো়ন ঘোষণা করা হচ্ছে।”

এর আগে বুধবারই রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের সমস্ত শহরাঞ্চলে প্রতি রবিবার লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে সমস্ত সরকারি অফিস আগামী তিন মাসের জন্য সপ্তাহে পাঁচদিন খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিন, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান হিন্দিতে টুইট করে লেখেন, “প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে নজর রেখে সকলকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত স্যানিটাইজ করার অনুরোধ করছি। করোনা আক্রান্ত না হওয়াই আপাতত রাজ্যের পক্ষে উপকারী হবে।”

আরও পড়ুন: একটাও বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বেড নেই, করোনা আবহে শয্যা সঙ্কটে পুণে

ইন্দোর ও ভোপাল, এই দুই শহরেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার ইন্দোরে ৮৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভোপালে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৮ জন। এই নিয়ে দুই শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৪ হাজার ৮৯৫ ও ৫৫ হাজার ২৫৫-এ পৌঁছল। বর্তমানে ইন্দোরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬২৮১ এবং ভোপালে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৬৮১।

আগামী তিনদিন মধ্য প্রদেশের শহরাঞ্চল গুলিতে লকডাউন জারি থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা অর্থাৎ যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে এখনও সম্পূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।

ইন্দোর জেলা প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আপাতত সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হচ্ছে। কেবলমাত্র বিশেষ প্রয়োজনেই অস্ত্রোপচারে অনুমতি দেওয়া হবে। আপাতত রাজ্যে এক লাখ কোভিড শয্যার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘কাঁচামাল আটকে রেখেছে ইউরোপ-আমেরিকা’, টিকা সরবরাহে দেরি নিয়ে সাফাই সেরামকর্তার