করোনার করাল থাবায় রেমডেসিভিরের কালোবাজারি নিয়ে সাবধানী কেন্দ্র

রেমডেসিভিরের (Remdesivir) স্টক ও অন্যান্য তথ্য দেশীয় সংস্থাগুলিকে ওয়েবসাইটে উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

করোনার করাল থাবায় রেমডেসিভিরের কালোবাজারি নিয়ে সাবধানী কেন্দ্র
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2021 | 1:35 PM

নয়া দিল্লি: দেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। এই বাড়তি করোনা সংক্রমণ রুখতে করোনার ওষুধ রেমডেসিভির (Remdesivir) বিদেশে রফতানি বন্ধ করেছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে, রেমডেসিভিরের স্টক ও অন্যান্য তথ্য দেশীয় সংস্থাগুলিকে ওয়েবসাইটে উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। রোগীদের যাতে এই ওষুধ পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এহেন পদক্ষেপ করেছে সরকার। তার সঙ্গে কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করতে অধিক সচেতন কেন্দ্র। ড্রাগ ইনসপেক্টররা সক্রিয়ভাবে এই বিষয়ে খেয়াল রাখছেন।

করোনা চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয় অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির। বাজার জুড়ে এই ওষুধের বিপুল চাহিদা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই রেমডেসিভির কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। তাই রেমডেসিভির নিয়ে সাবধানী কেন্দ্র। প্রত্যেক নির্মাতা সংস্থাকে এই ওষুধের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ড্রাগ ইনসপেক্টরদের সঙ্গে এই বিষয়ে পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

তবে এতকিছুর পরেও সম্ভব হচ্ছে না কালোবাজারি রোখা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের একটি হাসপাতাল থেকে অবৈধভাবে রেমডেসিভির বিক্রির জন্য দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁরা রেমডেসিভিরের এক একটি শিশি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় কালোবাজারি করে বিক্রি করছিলেন। ওই দু’জনের কাছ থেকে রেমডেসিভিরের ২১টি শিশি উদ্ধার করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা হাসপাতাল থেকে এই ওষুধ হস্তগত করে বেআইনিভাবে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ। সোমবারই গুজরাটের একটি বিজেপি কার্যালয় থেকে রেমডেসিভির বিতরণের অভিযোগ ওঠে। কোথা থেকে এই ওষুধ আসছে এবং কীভাবেই বা সরকারের অনুমতি ছাড়াই রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে রেমডেসিভির বিলি করা হচ্ছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

উল্লেখ্য, আমেরিকার জিলিড সায়েন্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৭টি ভারতীয় কোম্পানি রেমডেসিভির তৈরি করে। যার ফলে একমাসে প্রায় ৩৮ লক্ষ ৮০ হাজার রেমডেসিভির উৎপাদিত হয়। এই ওষুধের কালোবাজারি বন্ধ করতে স্টক যাচাই করার কাজ শুরু করেছে ওষুধ দফতর। করোনা রুখতে প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুন: বাজারে অমিল রেমিডেসিভির, বিনামূল্যে বিতরণ হচ্ছে বিজেপি কার্যালয় থেকে!