Nitin Gadkari: ‘ক্ষমা চাইছি’, ভরা সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি শুনে হাততালি জনগণের
Road Construction: জনগণের সামনে কেন্দ্রের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে দেখে প্রাথমিকভাবে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রীকে ভুল স্বীকার করতে দেখে সমবেত জনতা হাততালি দিতে শুরু করে।
ভোপাল: জনগণের সামনে ক্ষমা চাইলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরী (Nitin Gadkari)। মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যের হাইওয়ের একটি অংশে খারাপ কাজের জন্যই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ক্ষমা প্রার্থানা। জানা গিয়েছে, রাস্তার ওই অংশ সঠিকভাবে নির্মাণের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে। মধ্য প্রদেশের জব্বলপুরে সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও ব্যথিত। কোনও ভুল হলে আমার ক্ষমা চাইতে কোনও দ্বিধা নেই। মান্ডলা-জব্বলপুর জাতীয় সড়কে বারেলা থেকে মান্ডলা অংশ তৈরিতে ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা তৈরি কাজ দেখে আমি সন্তুষ্ট নই।”
জনগণের সামনে কেন্দ্রের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে দেখে প্রাথমিকভাবে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রীকে ভুল স্বীকার করতে দেখে সমবেত জনতা হাততালি দিতে শুরু করে। মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নিতিন বলেন, “রাস্তা তৈরিতে সমস্যা রয়েছে যার কারণে আপানাদের অনেককেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এখানে আসার আগে আমি আমার দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাকি থাকা কাজ নিয়েও তাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আলোচনার ভিত্তিতে পুরনো টেন্ডার বাতিল করে নতুনভাবে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত নতুন রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে।”
সোমবারের অনুষ্ঠানে থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরী ও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ৮টি নতুন রাস্তা উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী থাকাকালীন মধ্য প্রদেশকে তিনি ৬ লক্ষ কোটি টাকার রাস্তা উপহার দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নিতিন এবং সেই কাজের জন্য দ্রুততার সঙ্গে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণ ও বন সাফাইয়ের কাজে নজর দেওয়ার আবেদন করেছেন।
আরএসএস ঘনিষ্ঠ গডকরীর মন্তব্য অনেকবারই গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময়কাল থেকে দেশে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “উদার অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে দেশ নতুন দিকে যাচ্ছে। এই কারণে দেশ মনমোহন সিংয়ের কাছে ঋণী।”