প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ‘শান্তি বিঘ্নিত’ করেছে চিনের গতিবিধি: কেন্দ্র

তিনি বলেন, "যদিও ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে চিনাপক্ষ বহুবার অনৈতিকভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এর যোগ্য জবাব দিয়েছে এবং চিনা পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এইধরনের প্রচেষ্টা বরদাস্ত করবে না ভারত।"

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় 'শান্তি বিঘ্নিত' করেছে চিনের গতিবিধি: কেন্দ্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 04, 2021 | 5:33 PM

নয়া দিল্লি: রাজ্যসভাতেও চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন (V Muraleedharan) বলেন, “পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে চিনা সেনাবাহিনী যেভাবে সীমান্তের অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করছে, তাতে সেই অঞ্চলে গুরুতরভাবে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে।” তবে ভারতীয় সেনারা চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে, তাও জানান তিনি।

চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুই তরফই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখা খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, “যদিও ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে চিনাপক্ষ বহুবার অনৈতিকভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এর যোগ্য জবাব দিয়েছে এবং চিনা পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এইধরনের প্রচেষ্টা বরদাস্ত করবে না ভারত।”

আরও পড়ুন: কেরোসিনে ১ টাকাও ভর্তুকি দেবে না কেন্দ্র, কবে থেকে বাড়ছে দাম?

ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ককে তিনি “জটিল” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “বিগত কয়েক বছর ধরে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে কোনও বিষয়েই যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় রেখেই আগামিদিনের কোনও জোট বা চুক্তি করা হবে, এই বিষয়েও সম্মতিতে এসেছে দুই দেশ।” বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিগত কয়েকমাস ধরে আমরা চিনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে প্রতিটি সংঘর্ষস্থল থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে ইন্দো-চিন সীমান্তে সম্পূর্ণ শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।”

গতবছরের ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)-র সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)-র আলোচনার বিষয়টিও উল্লেখ করে মুরলীধরন বলেন, “তাঁরা দুজনই আলোচনায় সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে সম্মত হয়ে হয়েছেন।”

আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট, গ্রেটা থুনবার্গের নামে মামলা দায়ের দিল্লি পুলিশের