বালেশ্বর: শুক্রবার রাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। বালেশ্বর স্টেশন ছাড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে বাহানাগার কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল। শুক্রবার রাতের সেই দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিষেবা স্বাভাবিক করেছে রেল। বুধবার আবার শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস রওনা দিয়েছে চেন্নাইয়ের দিকে। নির্ধারিত সময় দুপুর ৩টে ২০ মিনিটের থেকে সাত মিনিট পরে যাত্রীদের নিয়ে শালিমার থেকে রওনা দেয় করমণ্ডল। দুর্ঘটনার পর শালিমার থেকে বুধবারই প্রথম ছাড়ল করমণ্ডল। তবে ভয়কে পাশ কাটিয়ে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ যাচ্ছেন চিকিৎসা করাতে, কেউ যাচ্ছেন কাজের খোঁজে, রুজি-রোজগারের তাগিদে।
সূচি অনুযায়ী সন্ধে ৬টা ৩২ মিনিটে বালেশ্বরে পৌঁছনোর কথা ছিল করমণ্ডলের। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর ট্রেনের সময়সূচির থেকে কিছুটা দেরিতেই চলছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পরে সন্ধে ৭টা ৫০ মিনিটে বালেশ্বরে পৌঁছায় ট্রেন। বালেশ্বরে পাঁচ মিনিটের হল্ট করমণ্ডলের। কিন্তু অনেকটা সময় পেরিয়ে রাত ৮টা ২৬ মিনিটে বালেশ্বর স্টেশন ছেড়ে রওনা দেয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিন শুরু থেকেই কিছুটা দেরিতে চলছে ট্রেন। খড়্গপুর স্টেশনে যখন ঢুকেছিল, তখনও প্রায় ২৫ মিনিট দেরিতে চলছিল ট্রেন। বিকেল পাঁচটা খড়্গপুরে ঢোকার কথা থাকলেও, খড়্গপুরে ট্রেন ঢোকে ৫টা ২৫ মিনিটে। বালেশ্বর পেরিয়ে ট্রেন যখন বাহানাগা স্টেশনে পৌঁছায়, তখন রাত ৯ টা পেরিয়ে গিয়েছে। রাত প্রায় সাড়ে ৯ টা নাগাদ বাহানাগা স্টেশন পার করে ট্রেন। বাহানাগায় ঢোকার আগে খান্তাপাড়া স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল করমণ্ডল। ট্রেন যখন বাহানাগায় পৌঁছল, তখন প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি।
এদিকে হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও রাত প্রায় সাড়ে ৯ টা নাগাদ বাহানাগা স্টেশন পেরিয়ে হাওড়ার দিকে এগিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে বাহানাগা স্টেশনের উপর দিয়ে পার করল দু’টি ট্রেন।