Chinese Garlic: হাইকোর্টে চিনা রসুন নিয়ে হাজির আইনজীবী, অভিযোগ শুনেই ডাক পড়ল অফিসারদের
High Court: হাইকোর্টের বিচারপতি রাজন রায় ও বিচারপতি ওম প্রকাশ শুক্লার বেঞ্চে চলছিল শুনানি। শুনানিতে চিনা রসুন ও ভারতীয় রসুনের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। কীটনাশকের প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে বলেই চিনা রসুনের বিক্রি বন্ধ করা হয়েছিল বাজারে।
এলাহবাদ: দামে অনেকটাই সস্তা। খোসা ছাড়ানো যায় সহজেই। দেখতেও ভাল। ভারতীয় রসুনের তুলনায় চেহারায় ভাল এই রসুন। কিন্তু গুণ? প্রায় নেই বললেই চলে। উল্টে বাড়তে পারে বিপদ! নিষেধ সত্ত্বেও সেই রসুন রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এ কথা শুনেই খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের তলব করল আদালত।
আইনজীবী মোতিলাল যাদব এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন এলাহবাদ হাইকোর্টে। মামলায় প্রশ্ন ওঠে, ২০১৪ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কীভাবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে চিনা রসুন?
এলাহবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজন রায় ও বিচারপতি ওম প্রকাশ শুক্লার বেঞ্চে চলছিল শুনানি। শুনানিতে চিনা রসুন ও ভারতীয় রসুনের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। কীটনাশকের প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে বলেই চিনা রসুনের বিক্রি বন্ধ করা হয়েছিল বাজারে। তারপরও কীভাবে এই কারবার চলছে, তা নিয়ে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আবেদনকারী। এই মামলা শোনার পর উত্তর প্রদেশের সংশ্লিষ্ট দফতরের রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের তলব করেছে হাইকোর্ট।
এই ধরনের রসুন ভারতে যাতে না ঢোকানো হয়, তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চায় আদালত। এই বিষয়ে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সূর্য ভান পাণ্ডেকে। কীভাবে সেগুলি ভারতের বাজারে চলে আসছে, তা দেখার জন্য কোনও তদন্ত করা হচ্ছে কি না, সেটাও জানতে চেয়েছে আদালত।
জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত করুক সিবিআই। কোন অফিসাররা এর সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করা হোক।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভারতে নিষিদ্ধ হয়ে যায় চিনা রসুন। অভিযোগ ওঠে, ওইসব রসুন ফলাতে ব্যবহার হয় চড়া কীটনাশক, যাতে থাকে ছত্রাক। স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিবেশী দেশের রসুন বিক্রি বন্ধ করা হয়। এমনকী ক্যানসারের কারণ হতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে।