নয়া দিল্লি: ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২। ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এটি। গতকালই দেড় লাখের গণ্ডি পার করেছিল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এ দিন তা আরও বেড়ে ১ লাখ ৬৮ হাজারে পৌঁছল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হারও বেশি। দেশে একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭। তবে সংক্রমণ বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। চলতি মাস থেকে শুরু হওয়া কুম্ভ মেলায় দেখা যাচ্ছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। সামনেই নবরাত্রি ও রমজান থাকায় জনসমাগমে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা কেন্দ্রের।
করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হল হরিয়ানা সরকারও। আজ থেকেই রাজ্যে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা অবধি নৈশ কার্ফু জারি করা হল। কবে এই কার্ফু জারি থাকবে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
কেরলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ্যসচিব বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রাজ্যের সমস্ত দোকান ও হোটেল রাত ৯টা অবধি খোলা থাকবে। হোটেল ও রেস্তরাঁগুলি ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে পরিচালন করতে হবে।
Kerala: A high-level meeting held by State Chief Secretary has decided to recommend imposing strict regulations including restricting shops & hotels to function till 9 pm, in view of #COVID19. Hotels & restaurants should only allow 50% of maximum seating capacity.
— ANI (@ANI) April 12, 2021
গত বছর করোনা রোগীর চিকিৎসায় শয্যা সঙ্কট দেখা দিতেই রেলের কোচগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছিল। এ বার মহারাষ্ট্র সরকারের অনুরোধে নন্দুবারে রেলের ২১টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা হল। প্রতিটি কোচে মোট ১৬টি শয্যা থাকবে।
At Maharashtra govt’s request, Railways has turned 21 coaches into isolation wards and sent them to Nandurbar. There will be 16 beds in a coach: Western Railway PRO pic.twitter.com/JqUfnmEyco
— ANI (@ANI) April 12, 2021
সংক্রমণে নতুন রেকর্ড গড়ল রাজধানী। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৯১ জন। এখনও পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের, যা গত ৫ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা।বর্তমানে দিল্লিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজারেরও বেশি।
করোনার থাবা এ বার আইআইএম কলকাতাতেও। ২ এপ্রিল থেকে এখনও অবধি মোট ৬১ পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সকলেরই স্বল্প উপসর্গ রয়েছে। আপাতত ক্যাম্পাসেই আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁরা।
করোনার বাড়তি সংক্রমণের মুখে রাজ্যের দ্বাদশ ও দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা আপাতত বাতিল করল মহারাষ্ট্র প্রশাসন। সিবিএসই, আইসিএসই সহ অন্যান্য বোর্ডগুলিকেও পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘আগে স্বাস্থ্য পরে শিক্ষা’, করোনা আবহে বোর্ড পরীক্ষা বাতিল মহারাষ্ট্রে
সরকারের নথির সঙ্গে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কোনও মিল নেই বলে এ দিন অভিযোগ তোলে গুজরাট হাইকোর্ট। করোনা পরীক্ষায় গাফিলতি, ভুল নথি নিয়ে তুমুল সমালোচনা করা হয় সরকারকে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ঈশ্বরের ভরসায় রয়েছেন মানুষ’, করোনার হাল দেখে রাজ্যকে তুলোধনা গুজরাট হাইকোর্টের
গত ১ এপ্রিল থেকে হরিদ্বারে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে পুণ্যস্নান। দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই, এমনটাই পরিস্থিতি হরিদ্বারে। পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন।
বিস্তারিত পড়ুন: ঘাটে উপচে পড়া ভিড়, সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে পুণ্য অর্জনে কুম্ভে চলছে শাহি-স্নান
তুলো বা কাপড় নয়, গদির ভিতর ভরা হচ্ছিল ব্যবহৃত মাস্ক। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায় এমনই এক কারখানার হদিস মিলেছে। কারখানা চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যবহার করা মাস্কও। মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কুসুম্বা গ্রামের ওই কারখানায় তৈরি হচ্ছিল গদিগুলি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দ্রকান্ত গাওয়ালি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, গদির ভেতরে পুরে দেওয়া হচ্ছে ব্যবহার করা মাস্ক।
বিস্তারিত পড়ুন: ব্যবহার করা মাস্ক দিয়ে তৈরি হচ্ছিল ম্যাট্রেস! হাতেনাতে ধরল পুলিশ
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়েও সবথেকে বেশি প্রভাবিত মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে লকডাউন জারি করা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি তিনি। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে(Rajesh Tope) জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল ক্যাবিনেট বৈঠকে লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ক্যাবিনেট বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত’, লকডাউন ঘিরে ধোঁয়াশা দূর করলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা ঘাটি গেড়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বশরীরে উপস্থিতি বন্ধ হল শীর্ষ আদালতে। আপাতত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই আদালতের শুনানি চলবে।