‘ক্যাবিনেট বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত’, লকডাউন ঘিরে ধোঁয়াশা দূর করলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাজেশ তোপে বলেন, "আগামী দুই দিন রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেট বৈঠক করতে পারেন। এই বৈঠক হয়ে গেলেই ১৪ এপ্রিলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।"

'ক্যাবিনেট বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত', লকডাউন ঘিরে ধোঁয়াশা দূর করলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2021 | 12:12 PM

মুম্বই: ৫৫ হাজার থেকে এক লাফে ৬৩ হাজার। একদিনেই মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ হাজার। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন (Lockdown) নিয়ে জল্পনা বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে। কিন্তু আদৌই লকডাউন হবে কিনা, বা হলে কবে থেকে এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কেউই জানাচ্ছেন না। তবে রবিবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে(Rajesh Tope) জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল ক্যাবিনেট বৈঠকে লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়েও সবথেকে বেশি প্রভাবিত মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি রাজ্যের সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতও সংগ্রহ করছেন। দুদিন আগেই তিনি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে একাধিক টুইট বার্তায় তিনি লকডাউনের ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন।

রবিবার রাজ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই তিনি সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার কথা উল্লেখ করেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তোপে। একইসঙ্গে তিনি জানান, করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমিডেসিভিরের ঘাটতি সমস্যা মেটাতে জেলাশাসক অফিসের অনুমতির মাধ্যমেই বেসরকারি হাসপাতালে এই ওষুধ পাঠানো হবে।

লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী দুই দিন অর্থ দফতর ও অন্যান্য দফতরের সঙ্গে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেট বৈঠক করতে পারেন। এই বৈঠক হয়ে গেলেই ১৪ এপ্রিলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।”

টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠকে আলোচিত বিষয় সম্পর্কে তিনি জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করবে, যেখানে রোগীদের রেমিডেসিভির দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেখানে রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে। হাসপাতালের ক্ষেত্রে, রোগীর পরিবারকে দোকানে না পাঠিয়ে সরাসরি নিজেদের স্টক থেকেই ওষুধ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলি অক্সিজেন সাপ্লাই নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় তরল অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মধ্যেও লকডাউন নিয়ে ভিন্নমত জানা গিয়েছে। একাধিক সদস্যের মতে, কিছুদিনের জন্য বিধি নিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন। এতে রোগী সংখ্যা কমবে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে সুবিধা হবে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ রাহুল পণ্ডিত বলেন, “আটদিনের জন্য লকডাউন হবে নাকি ১৪ দিন, সেই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নেবেন। তবে বৈজ্ঞানিক মতে, যদি আটদিনের লকডাউন জারি করা হয়, তবে আটদিন বাদে তার ফল দেখা যাবে।”

আরও পড়ুন: ৫০ শতাংশ কর্মীই করোনা আক্রান্ত! ফের অনলাইনেই চলবে সুপ্রিম কোর্টের বিচার প্রক্রিয়া