Criminal Surrenders: যোগীর ভয়ে কাঁপছে গুন্ডারা! হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে থানায় হাজির কুখ্যাত অপরাধী, হতবাক পুলিশ কর্তারা

Uttar Pradesh Police: দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত ওই অপরাধী ফেরার ছিলেন। পুলিশ তন্ন তন্ন করেও খুঁজেও তাঁর নাগাল পায়নি।

Criminal Surrenders: যোগীর ভয়ে কাঁপছে গুন্ডারা! হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে থানায় হাজির কুখ্যাত অপরাধী, হতবাক পুলিশ কর্তারা
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2022 | 1:25 PM

ফিরোজবাদ: পুলিশ ও অপরাধীদের (Police and Criminals) শত্রুতা যুগযুগান্ত ধরে চলে আসছে। সমাজের অধঃপতন ঠেকাতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশকে সবসময়ই প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সকলের রক্ষাকর্তা পুলিশের নানা ভূমিকা নিয়েও মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। অনেক সময়ই দাবি করা হয়, আইনের বাইরে গিয়ে পুলিশ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই মানবাধিকার ভঙ্গ করার অভিযোগেও বিদ্ধ হতে হয় পুলিশকে। অনেকে ক্ষেত্রেই আইনের আওতার বাইরে অপরাধীদের এনকাউন্টারের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh Police) বিরুদ্ধেও একাধিকবার এনকাউন্টার করার অভিযোগ উঠেছে। অপরাধীরা পুলিশকে ভয় পাবে এটাই তো স্বাভাবিক। এক কুখ্যাত অপরাধীর পুলিশকে ভয় পাওয়ার এমনই ছবি উঠে এল। দেখে মনে হতে পারে এ যেন অবিকল কোনও হিন্দি সিনেমার প্লট।

Requesting police not to open fire, criminal surrenders at police station in UP’s Firozabad

দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত ওই অপরাধী ফেরার ছিলেন। পুলিশ তন্ন তন্ন করেও খুঁজেও তাঁর নাগাল পায়নি। সেই অপরাধীই হঠাৎ করেই উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার সিরসাগঞ্জ থানায় সটান হাজির হয়। তবে খালি হাতে থানায় যায়নি ওই অপরাদী। তাঁর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড ছিল। ওই প্ল্যাকার্ডে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছিল ওই অপরাধী। সেখানে লেখা ছিল, “আমি আত্মসমর্পণ করছি, দয়া করে আমাকে গুলি করবেন না।” যোগী আদিত্যনাথ দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, এই প্রথম অপরাধী সরাসরি থানা গিয়ে এইভাবে আত্মসমর্পণ করল।

জানা গিয়েছে ওই কুখ্যাত অপরাধী হিমাংশু ওরফে হানি নামে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। গা ঢাকা দিয়ে থেকেও শান্তিতে থাকতে পারছিল না হানি। বারবারই মনে হচ্ছিল পুলিশ তাঁকে যে কোনও মুহূর্তে এনকাউন্টার করতে পারে। সেই ভয় থেকে সটান পুলিশের দরজায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হানি। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। বিজ্ঞাপন দিয়ে অপরাধীদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তবে অনেকেই পুলিশের প্রতি অপরাধীদের এই ভয়কে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

আরও পড়ুন Odisha skeletons Mystery: টাকার লোভেই খুলেছিলেন বস্তার মুখ, দেখেই হিমস্রোত বয়ে গেল গ্রামবাসীদের শরীর দিয়ে….