নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট রাহুলের, অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ শিশু সুরক্ষা কমিশনের

দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দিল্লি। আজ (Delhi) সকালে সেই পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট রাহুলের, অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ শিশু সুরক্ষা কমিশনের
নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 6:40 PM

নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লি: দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজধানী। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে, খুন করে জোর করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল ওঠে শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ সকালেই দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরানা নঙ্গল এলাকায় ওই নাবালিকার বাড়িতে যান রাহুল গান্ধী। পরে নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। আর সেই ছবি ঘুরেই বিতর্ক। ভারতের ‘পকসো’ আইনে ধর্ষিতা নাবালিকা বা তার পরিবারের ছবি প্রকাশকরা যায় না। এই দাবি জানিয়ে ছবি সরাতে বলল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।

বুধবার সকালে একটি ছবি টুইট করেছেন রাহুল, যেখানে তাঁর দু’পাশে বসে রয়েছেন নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা ও মা। দু’জনেরই মুখই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রাহুলের এই টুইটের পরই শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে টুইটারকে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘বাবা-মায়ের ছবি দেখিয়ে নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে পকসো আইন ভেঙেছেন রাহুল।’ এ কথা জানিয়ে টুইটারকে অবিলম্বে ওই ছবি সরাতে বলা হয়েছে ও রাহুল গান্ধীকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

টুইটার ইন্ডিয়ার ‘রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স অফিসার’-কে এই চিঠি দিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের তরফে টুইটারকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শিশু সুরক্ষা আইনে নাবালিকার পরিচয় এ ভাবে প্রকাশ করা যায় না।

এ দিন সকালে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বলেন, ‘আমি সবসময় পাশে রয়েছি। ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে লড়াই চালিয়ে যাব।’ গতকালও তিনি টুইট করে ওই নাবালিকাকে ‘দেশের মেয়ে’ বলে উল্লেখ করেন এবং কী ভাবে অলিম্পিকে মেডেল আনলে তবেই মেয়েদের গর্ব হিসাবে বলে করা হচ্ছে, তা নিয়ে সমালোচনা করেন। অন্যদিকে, দিল্লিতে ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ক্ষতিপূরণ বাবদ নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরানা নঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ওই দলিত নাবালিকাকে তার পরিবারের সদস্যরা ঠাণ্ডা জল আনতে পাশেই একটি শশ্মানে পাঠায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গেলেও, বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও ওই নাবালিকা না ফেরায় তার পরিবারের লোকজনেরা আশেপাশে খোঁজ খবর শুরু করে। কিছুক্ষণ বাদেই এক প্রতিবেশী নাবালিকার মা’কে ডেকে মেয়ের অর্থদগ্ধ দেহটি দেখান। পরে নাবালিকার মা-বাবা পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকেই গ্রেফতার করে। আরও পড়ুন: ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভায় সাসপেন্ড তৃণমূলের ৬ সাংসদ