নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরে একাধিক ইস্যুতে দিল্লির আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party) সরকারের সঙ্গে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার (VK Saxena) বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। সাক্সেনার সুপারিশে দিল্লি সরকারের নয়া আবগারি নীতি নিয়ে তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সংঘাতের কারণে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের (Arvind Kejriwal) সঙ্গে এলজি সাক্সেনার সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ বন্ধ ছিল। শুক্রবার পুনরায় মুখোমুখি হলেন কেজরীবাল ও সাক্সেনা। মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানার পর এই প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করলেন কেজরীবাল।
সংঘাতের আবহে মুখ্যমন্ত্রী এবং এলজির সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহল। দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরাসরি উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে নিশানা করেছিলেন সাক্সেনা। তাঁর অভিযোগ ছিল পছন্দের ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছেন সিসোদিয়া, বিনিময়ে তিনি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। এমনকী দিল্লির স্কুলগুলিতে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। পাল্টা আম আদমি পার্টির তরফে সাক্সেনার বিরুদ্ধে নোটবন্দির সময় ১৪০০ কোটি টাকার বাতিল নোট বদলানোর অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছিল।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর আপ নেতাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন সাক্সেনা, এমনকী মানহানির অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা নিয়ে আপ নেতাদের নিশানা করেছিলেন সাক্সেনার আইনজীবী। সাক্সেনার আইনজীবী আপ নেতাদের জানিয়েছিলেন, সাংবিধানিক কোনও পদাধিকারীর বিরুদ্ধে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা যায় না। উল্লেখ্য, আবাগারি নীতির তদন্তে নেমে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। দীর্ঘ সময় পর মণীশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন আধিকারিকরা। আপের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে, মণীশকে গ্রেফতার করা হতে পারে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, এটাই দেখার।