রেস্তরাঁয় হুক্কা পরিবেশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার? জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট
Hookah : কবে থেকে খুলবে দিল্লির হুক্কা বারগুলি?
নয়াদিল্লি : খাবারের দোকান, রেস্তরাঁ এবং বারে হার্বাল ফ্লেভারের হুক্কা বিক্রি এবং পরিবেশন সংক্রান্ত বিষয়ে কী চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে? দিল্লি সরকার এবং জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদের কাছে জবাব চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। দ্রুত এই সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রেখা পাটিল শুক্রবার কেজরিওয়ালের সরকারকে এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠিয়েছে। যাতে সমাজের বিশেষ করে মানুষের জীবন-জীবিকার মধ্যে একটি সামঞ্জস্য বজায় রাখা যায়, সেই সব দিক বিবেচনা করে দিল্লি সরকারকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে দিল্লি হাইকোর্ট। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন হোটেল, রেস্তঁরা, সিনেমা হল, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে। অনেকটাই ছন্দে ফিরেছে রাজধানী। এমনকী স্কুলগুলিও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে হুক্কা পার্লারগুলি খোলার এখনও কোনও অনুমতি দেয়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। এবার সেই নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হুক্কা পার্লারগুলির সঙ্গে যুক্তরা।
সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এবার দিল্লি সরকারকে নোটিস পাঠাল হাইকোর্ট। সবদিক বিবেচনা করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে দিল্লি সরকারকে। বিচারপতি রেখা পাটিল দিল্লি সরকারকে পাঠানো চিঠিতে এও লিখেছেন, অন্যান্য সব কিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে এটি কেন নয়? এমনকী আবেদনকারীরা সবধরনের সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা মেনে চলতেও আগ্রহী। তারপরেও কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এর আগে কেজরিওয়ালের সরকার এই আবেদনের চরম বিরোধিতা করেছিল। বলা হয়েছিল, এখন যে করোনা পরিস্থিতি চলছে, তাতে কোনওভাবেই হুক্কা চালু করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছিল, একটি ছোট্ট ভুলের খেসারত গোটা রাজধানীকে দিতে হতে পারে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, একটি হুক্কা যখন একাধিক মানুষ মুখে লাগিয়ে টানছেন, তখন তার থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
সেই সময় সরকার পক্ষের আইনজীবী সন্তোষ কুমার ত্রিপাঠী আদালতে জানিয়েছিলেন, “হুক্কা কোনও অত্যাবশ্যক পণ্য নয়। হার্বাল হোক বা তামাক দেওয়া হোক কিংবা তামাক ছাড়া হোক… রাজধানীর যে কোনও হোটেল, রেস্তঁরা, খাবারের দোকান, বার, পাব কিংবা অন্য কোনও খোলা জায়গায় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।”
তবে এখন রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্টের নোটিসের পর কেজরিওয়ালের সরকার নতুনভাবে বিবেচনা করে দেখবে বিষয়টি? নাকি রাজধানীর হুক্কাপ্রেমীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে অনুমতি পাওয়ার জন্য? দিল্লি সরকার এখন কী জবাব দেয়, তাতেই স্পষ্ট হবে গোটা বিষয়টি।
আরও পড়ুন : একাত্তরে পা নমোর! ঝিনুক দিয়ে মোদী-বন্দনা ওড়িশার শিল্পীর