Delhi Air Pollution: বাইরে পা রাখলেই চোখ-গলা জ্বালা! কবে ধোঁয়াশার চাদর থেকে মুক্তি পাবে দিল্লিবাসী?
Delhi Air Pollution: ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তারা যেন বাড়িতেই থাকেন। রাজধানীর দূষণ কমাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল যে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি এনেছিলেন, তা ফিরিয়ে আনা হবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা শুরু করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: দিনের আলো ফুটলেও এক হাত দূরে কী রয়েছে, তা দেখা দুষ্কর। সকাল থেকেই সাদা চাদরে মোড়া রাজধানী। নাহ, শীতের জানান দেওয়ার জন্য কুয়াশা (Fog) নয়, বরং ধোঁয়াশা(Smog)-তেই ঢেকেছে গোটা দিল্লি। দীপাবলির দুদিন পরেও দিল্লিতে বাতাসের গুণমান (AQI) “নিকৃষ্টতম” (Severe) পর্যায়েই রইল। একদিনের উৎসবে কার্যত দূষণের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে দিল্লি (Delhi)।
১ জানুয়ারি অবধি দিল্লিতে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই বিধিনেষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দেদার বাজি পোড়ানো হয়েছে গোটা দিল্লি জুড়েই। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতেই। পরদিন সকাল থেকেই ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণে আকাশ ঢাকা পড়েছে। কমেছে দৃশ্যমানতা। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচকের গড় পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬২ তে।
বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এই সূচকই সবথেকে খারাপ ছিল। গতবছর দীপাবলির পরবর্তী সময়ে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৩৫। ২০১৯ সালে এই সূচক ছিল ৩৬৮। ২০১৮ সালে দীপাবলি পরবর্তী সময়ে বাতাসে গুণগত সূচকের মান ছিল ৩৯০। ২০১৭ সালে সূচক ছিল ৪০৩ এবং ২০১৬ সালে এই সূচক ছিল ৪৪৫।
এ দিন সকালে দিল্লির বাতাসের গুণমান আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভোর ৬টা নাগাদ বাতাসের গুণগত মানের হার ছিল ৫৩৩, যার ফলে “অতি ভয়ঙ্কর” পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাস। পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ ও গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণমান আরও খারাপ বলেই জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ও বায়ুর গুণমান পূর্বাভাস ও গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৭ নভেম্বরের বিকেল থেকে দিল্লির আকাশ কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে। তবে বাতাসের গুণমান খারাপ পর্যায়েই থাকবে।
দীপাবলির রাতে বাজি ফাটানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল রাজধানীতে। কিন্তু সে সব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকেই বাজি ফাটিয়েছেন। আর তার সঙ্গে ফসলের গোড়ার অংশ পোড়ানোর সমস্যা তো রয়েছেই।
দিল্লিবাসীদের অনেকেই দীপাবলির রাত থেকেই গলা ও চোখ জ্বালা অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন। বিশেষ করে দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর। ফরিদাবাদে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৬৯, গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৬৪, গাজিয়াবাদে এই সূচক ছিল ৪৭০, গুরগাঁওয়ে এই সূচক ছিল ৪৭২ এবং নয়ডায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৭৫।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তারা যেন বাড়িতেই থাকেন। রাজধানীর দূষণ কমাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল যে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি এনেছিলেন, তা ফিরিয়ে আনা হবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা শুরু করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, শীতের শুরু হয়ে যাওয়ায়, তাপমাত্রা কম থাকায় এবং বাতাসের চলাচল কম হওয়ায় বিষাক্ত কণা বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছিই অবস্থান করছে। সেই কারণেই কুয়াশার সঙ্গে দূষিত কণা মিশ্রিত হয়ে ঘন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।